দেশ

ভারত বাঁচাও মানুষ বাঁচাও” কর্মসূচীতে ত্রিপুরা।


নীলাঞ্জনা রায়:- চিন্তন নিউজ:- ১২আগস্ট :-আজ থেকে বিরাশি বছর আগে ১৯৪২ সালের ৯ই আগষ্ট কংগ্রেস দীর্ঘ দ‍্যোদুল‍্যমানতা কাটিয়ে ডোমিনিয়ন স্ট‍্যাটাস বা স্বায়ত্বশাসনের দাবি থেকে বেড়িয়ে এসে আপামর ভারতবাসীর দীর্ঘদিনের আকাঙ্খাকে মর্যাদা দিয়ে পূর্ণ স্বরাজের দাবীতে আন্দোলনে নেমেছিলো।এই দিনেই গান্ধিজী ডাক দেন “বৃটিশ ভারত ছাড়ো।”

সেই মহান ঐতিহাসিক দিনকে স্মরণ করে সিপিআইএম তথা বামেরা ২০২০ সালে ডাক দিয়েছে “ভারত বাঁচাও মানুষ বাঁচাও” কর্মসূচী।

দেশ তথা বিশ্ব যখন মহামারীর সংক্রমণে ত্রস্ত, মানুষ বিপর্যস্ত তখন দেশের সরকার মানুষের লড়াইয়ে সহায়তা প্রদান না করে এবং জীবন তথা আর্থিক নিরাপত্তা,চিকিৎসা ব‍্যবস্থা সহজ লভ‍্য করা ও প্রয়োজনীয় খাদ‍্য অর্থ সহায়তার পরিকল্পনার পরিবর্তে এই লকডাউনে জনগণকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে।বিপর্যয় নিয়ন্ত্রন আইনের মাধ্যমে জনগণকে গৃহবন্দী করে মানুষের গচ্ছিত অর্থ জাতীয় ব‍্যাঙ্কগুলোর ৬৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ মুকুব করে কর্পোরেট সংস্থাগুলির হাতে তুলে দেবার ঘোষণা করছে। সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি জলের দরে কর্পোরেট মালিকদের হাতে তুলে দিচ্ছে । রেলকে বলা হয় “ভারতের জীবন রেখা।” প্রতিদিন দশ লক্ষাধিক মানুষ কম খরচে যাতায়াতের সুযোগ পান ও পণ‍্য চলাচলের প্রায় আশি শতাংশ রেলের উপর নির্ভরশীল । এই গর্বের রেল বিক্রির সিদ্ধান্ত কার্যকর করা শুরু করেছে। একই সাথে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়ে প্রতিরক্ষা ব‍্যবস্থায় চুয়াত্তর শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।

সিপিআইএম তথা বামেরা এটাকে নতুন করে দেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে হুমকি বলে মনে করছেন। আর তাই তাঁরা ৯ই আগষ্টে ঐতিহাসিক ঘটনার তাৎপর্য ও ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পুনরাবৃত্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতেই এই কর্মসূচীর ডাক দেওয়া হয়েছে বলে দাবী করেছেন।

দেশ জুড়ে এই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গোটা ত্রিপুরা রাজ‍্যব‍্যাপী প্রতি বুথ ও অঞ্চলে মানুষ রাজ‍্যের শাসকদল তথা কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় আসীন বিজেপির শত আক্রমণ ও রক্তচক্ষুকে অগ্রাহ‍্য করে পথে নেমেছিলেন। রাজ‍্য জুড়ে চোয়াল শক্ত করে রক্ত পতাকা হাতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষিত অতিমারি কালিন স্বাস্থ‍্যবিধি যথাযথ পালন করেই তাঁদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।বিভিন্ন অঞ্চলে নেতৃত্ব উপস্থিত থেকে কর্মসূচীর বিশদ ব‍্যাখ‍্যা হাজির করেছেন।

সোনামুড়া মহকুমার মেলাঘর অঞ্চলে একটি বুথে রবিবার “ভারত বাঁচাও মানুষ বাঁচাও” কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রামবাসীরা অংশগ্রহন করেছেন। এই এলাকা সীমান্তবর্তী এলাকা, কৃষক অংশের মানুষই বেশী।

“ভারত বাঁচাও মানুষ বাঁচাও” কর্মসূচিতে রবিবার সারারাজ্য জুড়ে ব‍্যাপক অংশের মানুষের অংশগ্রহনের মধ‍্য দিয়ে কর্মসূচী পালন করা হয়। আগরতলায় এই কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন বিজন ধর, নারায়ন কর, তপন চক্রবর্তী, জীতেন্দ্র চৌধুরী, মানিক দের মতো সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যসহ অন‍্যান‍্য রাজ্যনেতারা। বিভিন্ন মহকুমায় রাজ‍্য নেতৃত্ব উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।