রাজ্য

ফোন করলেই বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে স্যানিটারি ন্যাপকিন (শান্তিনিকেতন) ::—–


রত্না দাস:চিন্তন নিউজ:৩রা এপ্রিল:- গৃহবধূ. সন্তান বুড়ো শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে গৃহবন্দি। স্বামী অন্য রাজ্যে কর্মরত। প্রয়োজন স্যানিটারী ন্যাপকিন। কিভাবে তা জোগাড় হবে ?হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট তার নজরে আসে। বেঙ্গল ল কলেজ ও বিশ্বভারতীর চারজন ছাত্রীর ফোন নাম্বার দিয়ে সাহায্যের আশ্বাস ছিল সেই পোস্টে।গৃহবধূ সেই নাম্বারে ফোন করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যায় স্যানিটারি ন্যাপকিন।

চাল ডাল তেল নুন কিংবা ঔষধপত্র পৌঁছে দিতে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। কিন্তু মেয়েদের জন্য আলাদা করে ভেবেছেন ক’জন?? শান্তিনিকেতনের এসএফআই ইউনিটের তরফে সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই তাতে জেলা ছাড়াও অন্য জেলা থেকে ফোন আসছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় করা ওই পোস্টে লেখা হয়েছে ‘ ব্রেক দ‍্য চেন। তবে এই সময়ে থেমে থাকেনা ঋতুচক্র তাই বাড়ি থেকে বের হতে না পারলে নিশ্চয় নিঃসংকোচে ফোন করুন আমাদের প্রয়োজনে আমরা পৌছে দেবো স্যানিটারি ন্যাপকিন। ‘ নিজেদের নাম ও ফোন নাম্বার দিয়ে আহবানে এ কথাই জানান রিনি, নিবেদিতা, প্রিয়া ও মধুমিতা।

শান্তিনিকেতনের শামবাটি মোড়ের বাসিন্দা মা ও মেয়ে ন্যাপকিন কিনতে বেরিয়ে দোকান খোলা পায়নি।অগত্যা সাহায্যের জন্য ফোন করে কলেজ পড়ুয়াদের। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা বেরিয়ে পড়ে সেনেটারী ন্যাপকিন এর খোঁজে।এরপর সাহায্যপ্রার্থীর কাছে পৌঁছে দিলেন ন্যাপকিন।

বিশ্বভারতীর ছাত্রী মধুমিতা বলেন, ‘আমাদের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে সেনেটারী ন্যাপকিন অন্যতম। এই উদ্যোগ নেওয়ার বিশেষ কারণ এই লক ডাউনের সময় মেয়েরা যাতে স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে কোন সমস্যায় না পড়েন।’

অন্য জেলা কিংবা দূর থেকে ফোন এলে সেই ন্যাপকিন জোগাড় করা হয় কিন্তু অতদূরে পৌঁছানো হবে কি করে ?সেই কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন ছাত্রনেতা অনল চট্টোপাধ্যায়,অঞ্জন দাসরা তৈরী বাইক নিয়ে। তারা বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা যেখানে যেতে পারছে না ওদের নির্দেশমতো আমরা সেখানে বাইকে করে স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছে দিচ্ছি।’


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।