রাজ্য

উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে গেছে রাস্তা


বলরাম বসু, চিন্তন নিউজ, ১০ মার্চ: পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী অঞ্চল; আগের এই রাস্তার নাম ছিল এস.টি.কে.কে. রোড। বর্তমানে এই রাস্তাটির নাম হয়েছে আসাম রোড। আবার এই একই রাস্তাকে বলা হয় কালনা কাটোয়া রোড। এই রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার যে ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তাতে এটি চাষের জমি, না কি খামার বোঝা যাচ্ছে না।

দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটি সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তার দু দিকে ৫ ফুট ৫ ফুট করে চওড়া হবার কথা। কাজ শুরু হবার পর থেকেই মানুষের, বিশেষ করে পথচলতি মানুষ ও গাড়িচালকদের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। আগে মানুষ কষ্ট পেয়েছে রাস্তার ধুলোয়, এখন রাস্তা ভেঙে বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে রাস্তা আজ পরিণত হয়েছে চাষের জমিতে। মানুষ জীবন হাতের মুঠোয় করে নিয়ে প্রত্যেকদিন চলাফেরা করছে। গাড়ি চালাতে গাড়িচালকদের অসুবিধা হচ্ছে। টোটো, রিক্সা, ভ্যান খুবই কষ্টের মধ্যে দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে। প্রত্যেকদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই।

এই অঞ্চলের বিধায়ক স্বপন দেবনাথ আবার মন্ত্রিসভার সদস্য। স্বপন দেবনাথ এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করেন। ওনারও কোনো মাথাব্যথা নেই। হাটশিমলা অঞ্চল, কুবির ডাঙ্গা মোড়, সমুদ্রগড় স্টেশন বাজারের পর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তাটি ভেঙে জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে এবং এই জায়গাতে একটি স্কুলও আছে। হাটশিমলা জুনিয়র হাই স্কুল এবং বাজার এলাকায় ছবি তুলতে গেলে মানুষ ক্ষোভের কথা প্রকাশ করে এবং ক্ষোভে ফেটে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলায় পি.ডব্লিউ.ডি. দপ্তর এবং রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের টানাটানিতে কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে।

এখন দেখার কত তাড়াতাড়ি এই রাস্তাটি সারানো হয়, মানুষের চলাচলের যোগ্য করে তোলা হয়। এই রাস্তা দিয়ে দৈনন্দিন প্রচুর বড় ছোট মাঝারি গাড়ি চলাচল করে। এই রাস্তাটি সোজা মায়াপুর নবদ্বীপ কাটোয়া অবধি চলে গেছে। কয়েক লক্ষ মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। সারা রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের কাজ নাকি এগিয়ে চলছে। এই রাস্তাটা দেখে বরং উল্টোটাই মনে হবে। শুধু নীল সাদা রং আর বিজ্ঞাপনেই উন্নয়ন চলছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।