রাজ্য

নাগরিক পরিসেবায় পৌরসভার এই উদাসিনতার শিকার হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা


চিন্তন নিউজঃ- দধীচি মিত্রঃ ০৯/০৩/২০২৩:- -হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড। এক সময়ে এই ওয়ার্ড শহরের নাগরিকদের কাছে ছিল মডেল ওয়ার্ড। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সব শ্রেনীর মানুষের সহাবস্থান এই ওয়ার্ডে লক্ষ্য করা যায়। এই ওয়ার্ডের উল্লেখযোগ্য অঞ্চল হল মিলিটারি কলোনি। এক সময়ে এই অঞ্চল নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষের আধিক্য থাকলেও, সময়ের নিয়মেই এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেকটাই উন্নত। এই উন্নতির পেছনে অবশ্যই বাম আমলের পৌর নীতি। কিন্তু ইদানিং কালে সামান্য বর্ষা হলেই এই মিলিটারি কলোনি এবং তার সংলগ্ন এলাকায় হাঁটু জল। সেই জল নিকাশ হতে লেগে যায় কয়েকদিন। মূল নিকাশি নালা পরিষ্কার না হওয়ায়, এই বেহাল অবস্থায় চরম দুর্গতির মধ্যে বাসিন্দাদের দিনপাত করতে হয়।
২০০৭ – ২০০৮ সালে হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার জলনিকাশি সহ অন্যান্য সমস্যা কিভাবে দূর করা যায়, তার জন্যে ড্রাফট প্ল্যান তৈরি করা হয়, যা তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমোদিত হয়।
আলাদাভাবে মূলতঃ জল নিকাশি নিয়ে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে সরকারের কাছে পাঠানো হয় এবং তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার কতৃক অনুমোদিত হয়ে অর্থ মঞ্জুর করা হয়। সেই সময়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু হয় এবং ২০১১ সালের পর অনুমোদিত সম্পূর্ণ অর্থ খরচ না করেই, চলতি কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এই কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ার জন্যেই মিলিটারি কলোনি সহ অন্যান্য অঞ্চলের চরম দুর্গতি। বর্ষার সময়ে জল জমে থাকার ফলে এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, মানুষের যাতায়াত সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে থাকে।
এই সমস্যা সমাধানের জন্যে গত ০৩/ ০১/ ২০২৩ তারিখে প্রাক্তন কাউন্সিলর পৌরসভায় চিঠি দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ও কিছু পরামর্শ দেন, যা পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে পর্যালোচনা করার অনুরোধ করেন। বহুদিন হয়ে গেলেও পৌর কতৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ গ্রহন করেননি। নাগরিক স্বার্থে এটা কখনোই কাম্য হতে পারে না। এই প্রতিবেনের সাথে যে ছবি দুটি দেওয়া হল, তা মিলিটারি কলোনি অঞ্চলের প্রধান রাস্তা। এই রাস্তাই পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সাথে জিটি রোডের সংযোগ রক্ষা করে। এই রাস্তাটি আগে পিচ নির্মিত রাস্তা ছিল। যার ভার বহন ক্ষমতা ছিল অনেক বেশি। বর্তমানে রাস্তাটি ইঁট নির্মিত রাস্তা হতে চলেছে। যার ভার বহন ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। স্বাভাবিকভাবেই এই অঞ্চলের মানুষের গৃহনির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও গত এগারো মাস ধরে ইঁট নির্মানও স্থগিত অবস্থায় আছে। কিছু অংশ ইঁট পাতা, কিছু অংশে ঢালাই পর্যন্ত হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তার বেহাল অবস্থায় নাগরিক সমাজ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে চলেছে। নাগরিক পরিসেবায় পৌরসভার এই উদাসিনতার শিকার হতে হচ্ছে গোটা এলাকার বাসিন্দাদের।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।