দেশ

নিখিল ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সুশীলা গোপালনের স্মরণদিবস


সীমা বিশ্বাস, আসাম:চিন্তন নিউজ:– ২২শে ডিসেম্বর:-১৯ ডিসেম্বর নিখিল ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদিকা সুশীলা গোপালনের স্মৃতি দিবস। আসামের কামরূপ জেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন প্রেমদা নাথ। সভায় বক্তব্য রাখেন নিকুঞ্জ বড়ো এবং রমেশ নাথ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন যে নিখিল ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তমর্মে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সেই সঙ্গে আসাম রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ১৯ ডিসেম্বর কমরেড সুশীলা গোপালনের মৃত্যু দিবসে কমিউনিস্ট নেত্রীর কর্মরাজির বর্ণনা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। জিলা সম্পাদিকা নিকুঞ্জ তাঁর বক্তব্যে বলেন, কমরেড সুশীলা গোপালন নিখিল ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং ১৯৮০ সালে তিনি‌ নিখিল ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সর্বভারতীয় প্রথম সাধারণ সম্পাদক হন ।

কমরেড সুশীলা গোপালন ছিলেন একজন অসামান্য কমিনিউস্ট এবং নারী আন্দোলনের একজন বিশিষ্ট নেত্রী। ১৯৪৮ সনে ১৮বছর বয়সে তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন । ছাত্রী হিসাবে ছাত্র সংগঠন স্থাপনের অভিযোগে কলেজ থেকে তিনি বহিস্কৃত হয়েছিলেন । তিনি তাঁর কাকা করুনাকরা পানিক্বর এর প্রভাবে কয়রার কর্মীদের মধ্যে কাজকর্ম শুরু করেন । ট্রেড ইউনিয়নের নেতা হিসেবে তিনি শ্রমিকদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালে এ.কে .গোপালনের সাথে বিবাহ পাশে আবদ্ধ হন এবং তারপর তাঁরা দু’জনে শ্রমিক শ্রেণীর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁদের অবদান পার্টিকে শক্তিশালী করে । ১৯৬৪ সালে কমিউনিস্ট পার্টি ভাগ হওয়ার সময় কমরেড সুশিলা গোপালন মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন।

১৯৭৮সালের দশম কংগ্রেসে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন এবং মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত তিনি এই পদে আসীন ছিলেন । তিনি শ্রমজীবী এবং শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন এবং তিনি সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়নের উপসভাপতি এবং কেরলের সিআইটি ইউর রাজ্য কমিটিতে ছিলেন। ১৯৬৫ সালের আইন সভায় জেলে থাকা অবস্থায় নির্বাচিত হন । লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কেরলের এল ডি এফ সরকারের তিনি শিল্প মন্ত্রী ছিলেন ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ।অবশেষে ৭১ বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ।

কমরেড সুশীলা গোপালন ছিলেন শ্রমিক শ্রেণীর একজন বলিষ্ঠ নেত্রী। নারীমুক্তি আন্দোলনের অবিসংবাদি নেত্রী এবং একজন কমিউনিস্ট মার্কসবাদী-লেনিনবাদী।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।