কাকলি চ্যাটার্জী র প্রতিবেদন : চিন্তন নিউজ:২৭ শে আগস্ট:- কলকাতা জেলা:—- গতকাল ২৬শে আগস্ট ঢাকুরিয়ার সুইমিং পুলের সভা ঘরে ‘বাদল গুহ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ এর পক্ষ থেকে ঢাকুরিয়া অঞ্চলের বাম ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম কান্ডারি বদল গুহ র চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়! বাদল গুহ’র স্মৃতিচারণা করেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা দীপঙ্কর দে, অংশুতোষ খান, অচ্যুত চক্রবর্তী, অনুষ্ঠানের সভাপতির আসন গ্রহণ করেন গোরা সেনগুপ্ত এবং ট্রাস্ট এর সম্পাদক রোমি সেনগুপ্ত।
বাদল গুহ ছিলেন বামপন্থী লড়াইয়ের একজন প্রথম শ্রেণীর সৈনিক. যাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিলো ঢাকুরিয়া অঞ্চলে সুস্থ্ নাগরিক সমাজ। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে, সুস্থ্য নাগরিক সমাজ গড়ে তোলার জন্য তাঁর ছিলো আপস হীন সংগ্রাম! তার প্ৰতি শ্রদ্ধা জানাতে এক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়, বিষয় ছিলো, ‘অতিমারীকালে সত্যি আমরা সত্য র মুখোমুখি’। বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি হাসপাতালের প্রগতিশীল ডাক্তার সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ডাক্তার মানস গুমটা দীর্ঘ দু’ ঘন্টার বক্তব্যে একটার পর একটা উদাহরণ দিয়ে কোভিড১৯ মোকাবিলা করতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের অবৈজ্ঞানিক, বাস্তব বোধ এবং দূরদর্শীতার অভাবে দেশ তথা রাজ্যের মানুষকে কি ভাবে প্ৰতিদিন আতঙ্কগ্রস্ত করছে তার ব্যাখ্যা দেন। সভার শ্রোতা হিসাবে শুধুমাত্র বাম কর্মী, সমর্থকরাই ছিলেন না, ছিলেন অনেক সাধারন মানুষও। সভার শেষে ট্রাস্ট এর স্মারক ডাক্তার মানস গুমটা র হাতে তুলে দেন কলকাতা জেলার নেতা উৎপল দত্ত।
সভার শেষে সকলেই একটা সংকল্প নিয়ে সভা গৃহ ত্যাগ করেন তাহলো ” বাদল দা আপনি না ফেরার দেশে ঘুমোন “আমরা ঢাকুরিয়াবাসী কোনোদিনই অসামাজিক, প্রতিক্রিয়াশীল, বিভেদকামী শক্তিকে মাথা তুলতে দেব না,” এটা ঢাকুরিয়াবাসীর অঙ্গীকার। সভায় উপস্থিত সকলের মনের ভাষা দেখে আমার কবির সেই দুটো লাইনের কথা বারে বারে মনে পরে যাচ্ছিলো, “ভেঙেছো দুয়ার, এসেছো জোতির্ময়/তোমারই হোক জয় “!
অপরদিকে বেহালা থেকে সংবাদদাতা—-দেবী দাস জানিয়েছেন, সি পি আই (এম) বেহালা পশ্চিম (১) এরিয়া কমিটি উদ্যোগে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ১৬ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ সভা এই দাবি নিয়ে গত চার মাস ধরে পথ সভা চলছে। বেহালা পাঠক পাড়া মোড়ে এই বিক্ষোভ সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন শমিতা হরচৌধুরী ও এরিয়া সম্পাদক মহ: সাবির।