দেবু রায়ের প্রতিবেদন: চিন্তন নিউজ:২০শে অক্টোবর:-
বাংলার সবচেয়ে বড়ো উৎসব দূর্গাপুজো. কিন্তু এই উৎসব কি সকলের মনে আনন্দ আছে?. সবাই কি আনন্দে উৎসবকে পালন করতে পারছে?. না পারছে না! হয়তো কিছু উচ্চ মধ্যবিত্ত মানুষ যাদের সংখ্যা ১০-১৫% যাদের হাতে পয়সা আছে , শুধু মাত্র তারাই উৎসবের আনন্দকে উপভোগ করতে পারছে, আর বাকিরা? যাদের সংখ্যা ৮০-৮৫% তারা কি করছে?কোরোনা মহামারী অবস্থায় কারোর চাকরি নেই, কারোর হয়তো চাকরি আছে কিন্তু মাহিনা অর্ধেক হয়েছে, তাঁদের এমন অবস্থা যে খাবার কেনা ও কঠিন। এই সময় তাঁদের কাছে এক মাত্র পরিত্রাতা লাল ঝান্ডা। এই মুহূর্তে যাদবপুর অঞ্চলে মোট, তিনটি শ্রমজীবী ক্যান্টিন চলছে-
১)পূর্ব যাদবপুর এরিয়া কমিটি র গড় ফা তে শ্রমজীবি ক্যান্টিন যেখান থেকে রোজ এক হাজারের বেশি মানুষকে মাত্র কুড়ি টাকায় খাবার দেওয়া হচ্ছে.
২)জ্যোতিদেবী শ্রমজীবি ক্যান্টিন নব নগরে যেখান থাকে রোজ আটশো’ র মতো মানুষকে খাবার দেওয়া হচ্ছে.
৩)মধ্য যাদবপুর এরিয়া কমিটি বৈষ্ণবঘাটা পাটুলিতে “শ্রমজীবী রান্না ঘর “থেকে রোজ ছয় শো মতন মানুষকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। আজ ওই অঞ্চলের বাম কর্মীদের উৎসাহ দিতে হাজির ছিলেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক প্রাবন্ধিক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়!তিনি তার ব্যস্ত জীবনের মধ্যেও আজ কিছুটা সময় অতিবাহিত করেন শ্রমজীবী রান্না ঘরে, তিনি কিছু অর্থ সাহায্য করেন.
এর পাশাপাশি সমাজের মধ্যে ধর্মীয় মেরু করণ এর বিরুদ্ধে, সমাজ কে জাগ্রত করতে, এবং সমাজের মধ্যে সুস্থ সংস্কৃতি বজায় রাখতে, সিপিআই(এম) এর বইয়ের স্টল দেওয়া হয় যাদবপুর এর ৮বি বাস স্ট্যান্ডে, গতকাল ছিলো তার উদ্বোধন। উদ্বোধন করেন বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী. ছিলেন গণ আন্দোলন এর নেতা বিমান বোস।