তুলসী কুমার সিনহা:-চিন্তন নিউজ:- ১৭ই সেপ্টেম্বর:- বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে অনেক খবরই পাওয়া যায় যেগুলি প্রিন্ট মিডিয়া ব্রাত্য করে রাখে। সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের এক অখ্যাত গ্রামের দরিদ্র কৃষক লক ডাউনের সময়ে মেয়ের অন লাইনে পড়াশোনার জন্য স্মার্টফোন কিনতে গরু বিক্রির খবর ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
প্রসঙ্গত লকডাউনে সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি স্কুল অন লাইনে পড়াশোনার জন্য উদ্যোগী হয়। কিন্তু শিক্ষা দপ্তর একবারও ভেবে দেখার প্রয়োজন অনুভব করে নি ভারতের মত দেশ যেখানে বিশাল সংখ্যক মানুষ যারা দিন আনে দিন খায়, কোনো রকমে জীবিকা নির্বাহ করে, তাঁর উপর করোনা আবহে তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে,তাদের সবার পক্ষে এই স্মার্ট ফোন ক্রয় করা সম্ভব নয়।
এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের এমন অনেক প্রত্যন্ত গ্রাম আছে যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সেই জন্য ভারতের ছাত্র ফেডারেশন এমন একটি ছাত্র সংগঠন যারা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে অন লাইন শিক্ষা ব্যবস্থা বাতিল করার। তাদের যুক্তি এই ব্যবস্থা তখনই সম্ভব যখন প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর কাছে স্মার্টফোন থাকবে এবং সমস্ত এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার খুব সহজেই করা যাবে।
এমতাবস্থায় এস এফ আই দাবি করেছে সরকারের তরফে প্রতিটি দরিদ্র ছাত্র – ছাত্রীকে স্মার্টফোন দিতে হবে। আজ যদি একটি সার্ভে করা হয় দেখা যাবে ছাত্র-ছাত্রীদের বৃহৎ অংশ এই শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ব্যবস্থা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি বৈষম্যমূলক করা হল না?