চিন্তন নিউজ, কল্পনা গুপ্ত :২৫ শে অক্টোবর – শারদীয়া উৎসব উপলক্ষে বঙ্গীয় সাক্ষরতা প্রসার সমিতির উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতাড় ব্লকের ছাতনী গ্ৰামে দুঃস্থ বিধবা মহিলাদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয় এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। বস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেন নীলিমা মুখোপাধ্যায় ও সবিতা চট্টোপাধ্যায় এবং নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেন প্রাক্তন শিক্ষক শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়।
গতকাল ২৪শে অক্টোবর রাত ৯:৪০ মিনিটে কমঃ স্বপন রায় (খাপুকাকা) না ফেরার দেশে চলে গেলেন । কয়েকদিন ধরেই শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে এক নার্সিং হোমে ভর্তি থাকার পর গত রবিবার নার্সিং হোম থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। বর্তমান কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই জেলা হারালো একজন সৎ ,সাহসী ও ভরসা জাগাবার কমরেডকে। তিনি সর্বমঙ্গলা পাড়ার কামানতলার বাসিন্দা ছিলেন। কঠিন সত্তর দশকের পার্টি কর্মী, সৎ, নির্ভীক মানুষ। আশির দশকে তিনি ওই অঞ্চলের ব্রাঞ্চ সেক্রেটারি ছিলেন। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে তাঁর কর্মজীবন। সেখানেও তিনি তাঁর সহযোগী মনোভাবে সবার পাশে থেকেছেন। সবার প্রিয় মানুষ তিনি ছিলেন। সর্বমঙ্গলা পাড়ায় তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে আটটি কো – অপারেটিভ গঠন করেছিলেন যা আজও চলেছে স্বমহিমায়। তাঁর সুযোগ্য ভাই তরুণ রায় এরিয়া কমিটি ২ এর সম্পাদক। সন্তান তাঁর একটি কন্যা। কমরেড স্বপন রায়ের মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো বর্তমান প্রজন্মের জন্য, কারণ এই মানুষটির অভিজ্ঞতা থেকে আরো কিছুদিন থাকা থেকে বঞ্চিত হলো তারা। তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মাল্যদান করেন মদন ঘোষ ও তাপস সরকার।