চিন্তন নিউজ, কল্পনা গুপ্ত, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ – শিক্ষাস্বার্থে নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ২৯ দফা দাবি নিয়ে বর্ধমান শহর ১ ও ২ নং চক্রের অবর বিদ্যালয়ের পরিদর্শকগণের নিকট দুই চক্রের সম্পাদক রবিশংকর মাঝি ও সুব্রত দাস স্মারকলিপি প্রদান করেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ ভঞ্জ, জোনাল সম্পাদক অশোক দাস, সভাপতি দেবাশীষ লাহা ও জেলা নেতৃত্ব ও কর্মীবৃন্দ। দাবিগুলি-
- সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে সকল বিদ্যালয় খুলতে হবে।
- অবিলম্বে ছাত্র ছাত্রীদের মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
- সুষ্ঠু বদলী নীতি মেনে অবিলম্বে সকল বিদ্যালয়ে শূণ্য পদে শিক্ষক বদলী ও স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।।
- অবিলম্বে প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
- অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মহাশয়দের বকেয়া পেনশন অবিলম্বে প্রদান করতে হবে।
কাটোয়া শহরের হেমরাজ রাইস মিলের শ্রমিক করুনা কিসকু, মাধবী সোরেন, মৌ হাঁসদা, চুরকি মুর্মু, এদের মতো শতাধিক শ্রমিক সকলেই আদিবাসী হলেও জাতিগত শংসাপত্র নেই এঁদের।
শহরের দরিদ্রতম মানুষ হওয়া সত্ত্বেও এদের নাম জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে নথিভুক্ত করা হয় নি। বস্তিতে অমানুষিক কষ্টের মধ্যে বসবাস করতে হয় ২৫টি পরিবারের প্রায় একশো জন মানুষকে। মেলেনি সরকারি প্রকল্পের কোনো সহায়তা।
আজ সি আই টি ইউ কাটোয়া শহর এরিয়া সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে রাইস মিল শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে কাটোয়া মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার হয় শ্রমিকদের এইসব বঞ্চনার, সমস্যার প্রতিকারের দাবিতে।
কাটোয়া মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দেন রাইস মিল শ্রমিক নেত্রী করুনা কিসকু, অঞ্জন চ্যাটার্জি, সুজিৎ রায় প্রমুখ।
সি আই টি ইউ নেতৃত্ব দাবি জানান, আদিবাসী রাইস মিল শ্রমিকদের জাতিগত শংসাপত্রের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দরিদ্রতম শ্রমিকদের এন এফ এস এ তালিকাভুক্ত করে রেশন কার্ড দিতে হবে। রাইস মিল শ্রমিকদের বস্তিতে সরকারি প্রকল্পে পাকা ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে।
আলোচনা শেষে মহকুমা শাসক বঞ্চিত রাইস মিল শ্রমিকদের তালিকা জমা দিতে বলেন। এই তালিকা পেলে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।