চিন্তন নিউজ, কল্পনা গুপ্ত, ৩/৭/২৪:– শ্রদ্ধায় পালিত হল কালনার শহিদ দিবস।
২ জুলাই মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। কালনা ষ্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত শহিদ দিবসের স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) এর পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন। এই সভা পরিচালনা করেন সিপিআই(এম) কালনা শহর এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বপন ব্যানার্জি। স্মরণসভা শুরুর আগে পতাকা উত্তোলন, শহিদবেদিতে মাল্যদান করে কালনার ৫২ জন শহিদকে শ্রদ্ধা জানান–পার্টির নেত্রী অঞ্জু কর, সুকান্ত কোনার, অরিন্দম কোঙার, সুকুল শিকদার, মোহাম্মদ শাহ, আলিম শেখ, বিন কাশেম, প্রদীপ সাহা, জনা মুখার্জি, সুধীর ঘটক সহ শহিদ পরিবার পরিজন ও বিভিন্ন বাম গণসংঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্যে বলেন — আকাশ ছোঁয়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের আজ দুর্দশায়। বেকারত্ব দিন দিন বাড়ছে। পাট্টা ও বর্গা রেকর্ড সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতি, তোলাবাজি, কাটমানি খাওয়ার মত অনৈতিক কাজ এ রাজ্যে কারো অজানা নেই। তাই এসবের বিরুদ্ধে মানুষকে নিয়ে জোরদার লড়াই আন্দোলন করতে হবে। আর এ লড়াই কমিউনিস্টরা ছাড়া কেউ করবে না। একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন যে– যতদিন সমাজের বুকে শোষণ-বঞ্চনা অত্যাচার থাকবে, ততদিনই কমিউনিস্ট ও লাল ঝান্ডা থাকবে। কারো ক্ষমতা নেই লাল ঝান্ডাকে শেষ করার।১৯৭১ সালের ২রা জুলাই রাত্রিবেলা কালনা ষ্টেশনে কংগ্রেসি ঘাতক বাহিনীর হাতে শহিদ হন সি পি আই (এম) বর্ধমান জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মহাদেব ব্যানার্জি। তাঁর আগে ও পরে শহিদ হন আরো ৫১ জন সি পি আই এম নেতা ও কর্মী। এই ৫২ জন শহিদকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়।
২ জুলাই, ২০২৪, বর্ধমান শহর-
বুলডোজার রাজনীতি ও
নির্বিচারে হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সি আই টু ইউ, বর্ধমান শহর ১ ও ২ এরিয়া সমন্বয় কমিটি সহ বামপন্থী কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ সভা ও সভা শেষে প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত হয়। বি সি রোড মোবারক বিল্ডিং এর সামনে বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন সি আই টি ইউ পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম, বামপন্থী সংগঠনের নেতৃত্ব কুনাল বক্সী এবং বিগ বাজার চত্বরের হকার শেখ আসরাফুল। উপস্থিত ছিলেন গণআন্দোলনের জেলা নেতৃত্ব সৈয়দ হোসেন, তাপস সরকার, স্ট্রীট হকার্স ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্তী।
২ জুলাই — আখড়া হাইস্কুলে শাসক দলের কারণে স্কুলের সম্পদ নষ্টের প্রতিবাদে এস এফ আই কাটোয়া ২ লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে ৩ দফা দাবি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করা হলো।
গত ৩০ জুন তারিখে তৃণমূলের একটা দলীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়, সেই সভাতে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর সাথে অপর গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে হাতাহাতি শুরু হয়। সিঙ্গি অঞ্চল, শ্রীবাটী অঞ্চলের তৃণমূলের আশ্রয়িত দুষ্কৃতীরা হঠাৎ করে স্কুলের স্টাফ রুম সহ অফিস ও প্রধান শিক্ষকের ঘরের তালা ভেঙে ভাঙচুর চালায় , এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক মিডিয়াকে জানিয়েছেন যে, ওঁরা নাকি কিছুই জানেন না।
ভারতের ছাত্র ফেডারেশন, কাটোয়া ২ নং লোকাল কমিটি পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষক এর কাছে ডেপুটেশন প্রদান কর্মসূচির সময় এসএফআই প্রতিনিধিদেরকে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না যে স্কুলে কোনো রাজনৈতিক সভা হচ্ছে । কর্মসুচিতে উপস্থিত থাকা এসএফআই এর নেতৃত্ব বলেন, কোনো অনুমতি ছাড়া শাসক দলের প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক কর্মশালা তৈরি করেছে বর্তমান শাসক দল। এদিন এসএফআই প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয় ,
১) দীর্ঘদিন ধরে শাসক দল তাদের যেকোন ক্রিয়া-কলাপে স্কুলটিকে বেছে নিচ্ছে ফলে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এটি যত শীঘ্র সম্ভব বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি
২) গত ৩৯ জুন স্কুলে শাসক দলের সভা হয় এবং তাতে স্কুলের অনেক সম্পদ নষ্ট হয় এই ক্ষতি কি থেকে পূরণ হবে তা আপনারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন।
৩) এরপর থেকে স্কুল কোন রাজনৈতিক দলকে ব্যবহার করতে দিলে তার অনুমতির কপি সকলকে দেখাতে হবে। এবং কোন ক্ষতি হলে তার দায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
সংবাদদাতা সোমনাথ দে, কাটোয়া – কাটোয়া তে আগামী ৪ জুলাই ছাত্র ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল, সভা ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর কুশপত্তলিকা দাহ কর্মসূচি পালিত হবে।