বিদেশ

প্রথম রাউন্ডে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইকুয়েডরে – এগিয়ে বামপন্থী আন্দ্রেজ পারাউজ।


চিন্তন নিউজ, কল্পনা গুপ্ত, ৯ ই ফেব্রুয়ারি – করোনা মহামারীর পর থেকেই লাতিন আমেরিকার ইকুয়েডর দেশটি অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। আগের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো সোশ্যালিস্টদের সাথে দূরত্ব তৈরি করে ইনটারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের সাথে গাঁটছড়া বাধেন। বলিভিয়া, ভেনেজুয়েলা, কিউবা সহ কিছু দেশ বামপন্থী নিয়ন্ত্রিত। আমেরিকার দিকে ঝোঁকার কারণে এই দেশগুলি লেনিন মোরেনোর পদক্ষেপ ভালো ভাবে নেয়নি। ইকুয়েডরেও আন্দোলন শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। ফলে মোরেনোর জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে থাকে।

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডের ভোটে ” সিটিজেন রেভেলিউশন মুভমেন্ট” পার্টির বামপন্থী প্রার্থী আন্দ্রেজ আরাউজ ৩১.৫% ভোট পেয়েছেন। বামপন্থী আদি জনগোষ্ঠীর দলের নেতা ইয়াকু পেরেজ ২০.০৪% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন। দক্ষিণ পন্থী “সোশ্যাল খ্রিস্টান পার্টির ” নেতা গুয়েলার্মো লাসো পেয়েছেন ১৯.৯৭ % ভোট। প্রথম দিকে এগিয়ে থাকলেও পরে ক্রমশ পিছিয়ে পরেন।

এখানকার সংবিধান অনুসারে প্রথম রাউন্ডের ভোটে কোন প্রার্থী ৫০% ভোট পেলে সরাসরি প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হবেন। অথবা যদি ৪০% ভোট ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে ১০% ভোটে এগিয়ে থাকে তবে দ্বিতীয় রাউন্ড এড়ানো যাবে। প্রথম রাউন্ডের ফলাফল অনুযায়ী দ্বিতীয় রাউন্ডে ভোট হতে চলেছে ১১ ই এপ্রিল। অত‌এব বামপন্থী অর্থনীতিবিদ আন্দ্রেজ আরাউজ এবং আদি জনগোষ্টীর বামপন্থী আইনজীবী ইয়াকু পেরেজের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে। ইকুয়েডরে মাত্র ১০% আদি জনগোষ্টীর জনসংখ্যা হলেও পেরেজের প্রাপ্ত ভোট ২০%এর বেশি। এখন শুধু অপেক্ষা, আগামী এপ্রিল মাসের ফলাফলের জন্য।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।