নিউজডেস্ক, চিন্তন নিউজ, ৬ সেপ্টেম্বর: দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন। বন্ধ সমস্ত কিছু। অনন্যোপায় হয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় নামল সাধারণ মানুষ। শুক্রবার এমনই দৃশ্য দেখল অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহর। অস্ট্রেলিয়ার প্রাণকেন্দ্র মেলবোর্নেই প্রায় তিনশত মানুষ রাস্তায় নেমে লকডাউনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। পুলিশের সামনেই প্রতিবাদীরা স্লোগান তোলে, “স্বাধীনতা চাই”, “মানবাধিকারের মূল্য আছে।” মেলবোর্ন ছাড়াও সিডনি, পার্থ, ব্রিসবেন এবং এডিলেডেও মানুষ রাস্তায় নেমে লকডাউনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।
এই ঘটনায় মেলবোর্ন থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় ১৫ জনকে। এদের মধ্যে ১জনকে পুলিশকে হেনস্থা করার অভিযোগে এবং বাকি ১৪ জনকে লকডাউন বিধিভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়। লকডাউন বিধিভঙ্গের অভিযোগে দেড়শো’রও বেশি লোককে জরিমানা করা হয়েছে। সিডনিতে প্রতিবাদীদের আয়ত্তে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় পুলিশকে। খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় পুলিশের সাথে প্রতিবাদীদের। সিডনি থেকেও ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, যাদের মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে পুলিশকে হেনস্থা করার অভিযোগ। ভিক্টোরিয়া প্রদেশের প্রধান ড্যানিয়েল এন্ড্রুজ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, “এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং বেআইনি কাজ। এরকম এক কঠিন সময়ে রাস্তায় নেমে ভিড় করে প্রতিবাদ জানিয়ে তারা স্বার্থপরের মত কাজ করেছে।”
প্রসঙ্গত, জুলাই মাস থেকে টানা লকডাউন চলছে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশে। অস্ট্রেলিয়ার মোট করোনা সংক্রামিতের ৭৫% এবং মৃতের ৯০% এই ভিক্টোরিয়া প্রদেশেই। ভিক্টোরিয়ার রাজধানী মেলবোর্নে জারি করা হয়েছে কারফিউ। আজ রবিবার ড্যানিয়েল এন্ড্রুজ সম্ভবত লকডাউনের বিধিনিষেধ কিছুটা লঘু করার কথা ঘোষণা করবেন। যদিও তিনি ইতিমধ্যেই বলেছেন যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটানো সম্ভব হবে না। অন্যদিকে শুক্রবারই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ঘোষণা করেন যে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই দেশের আটটির মধ্যে সাতটি প্রদেশ তাদের আন্তঃপ্রদেশ সীমান্ত খুলে দেবে। তিনি এও বলেন যে, করোনার টিকা আবিষ্কার না হলে আগামী বেশ কয়েক বছর এভাবেই চলতে হবে।