রাজ্য

নতুন দূর্ভোগে কলকাতাবাসী,


সুপর্ণা রায়: চীন্তন নিউজ:৩১শে মে:- এবার আর এক নতুন দূর্ভোগে কলকাতাবাসী, বিপদ আর পিছন ছাড়ছে না কিছুতেই পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের।। একে অতিমাত্রায় করোনা সংক্রমণ ,উম্ফুন ঘূর্ণিঝড় , লকডাউন পরিস্থিতি ,পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানোর সমস্যা এবার তার উপর যোগ হল শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে চুল্লি খারাপ।।

করোনা সংক্রমণের কারণে যাদের মৃত্যু ঘটেছে তাদের গত ছয় দিন ধরে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা যাচ্ছে না।। এদিকে মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।। খবরে প্রকাশ গত ছয় দিনে করোনা সংক্রমণ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন।। করোনা সংক্রমণে মৃত্যু ঘটলে তা ধাপার মাঠে যে চুল্লি আছে সেখানে দাহ কার্য হয়।। আর সেই চুল্লিটিই খারাপ হয়ে গেছে।। কলকাতা কর্পোরেশন ধাপার মাঠের চুল্লি কিছুতেই ঠিক করতে পারছে না গত ছয় দিন ধরে।। করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এমন মৃতদেহ গুলো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের মর্গে অনিবার্য ভাবে পচছে।। বেনজির এই ঘটনায় স্বজন হারানো মানুষ গুলো প্রায় দিশাহারা, বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েছেন।।

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা শহরের যখন করোনা সংক্রমণে মৃত্যু ঘটতে শুরু করে তখন কর্পোরেশন থেকে ঠিক হয় মৃতদেহ গুলো হয় ধাপার মাঠে বা নিমতলা ঘাটে দাহ করা হবে আর বাগমারী মাঠে কবরোস্থ করা হবে যার যার নিয়মানুযায়ী।। এদিকে রাজ্যে প্রথম করোনা সংক্রমণে যে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছিল সেই মৃতদেহ যখন নিমতলা ঘাটে দাহ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তখন স্থানীয় লোকজন এবং তার সঙ্গে ডোমরাও বিক্ষোভ শুরু করে।।। তাদের বক্তব্য যে ওইখানে করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তাই সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায় আর সেই কারণে ওখানে মৃতদেহ দাহ করা যাবে না।। সমস্যা এমন জায়গায় পৌঁছায় যে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়।।। এই ঘটনার পর থেকে নিমতলা ঘাটে দাহ কার্য হচ্ছিলো না।

এক ভুক্তভোগী অমিত মুখার্জি তার অভিজ্ঞতা র কথা বলতে গিয়ে কার্যত ভেঙে পড়েছেন।। জানালেন তাঁর কাকিমা মারা গেছেন কোভিড আক্রান্ত হয়ে।। একে স্বজন হারানো তারপর সেই প্রিয় মানুষ টার মুখ শেষ বারের মত দেখতে না পাওয়ায় যন্ত্রনা, এগুলো তিনি জানতেন হবে।। কিন্তু তার স্পষ্ট কথা যে যদি জানতে পারতেন যে মানুষ টার দাহ কার্য টা সম্পন্ন করা হয়েছে তাহলে ও একটুখানি শান্তি পেতেন।।। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে ঘুরেও তিনি এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন নি।। গত ২৭ তারিখ এ অমিত বাবুর কাকিমা মারা যান ।।। তাঁর একমাত্র ছেলে এই মুহূর্তে বিদেশে।। দীর্ঘ কালীন লকডাউন এর জেরে দেশে ফিরতে পারছেন না।। এদিকে মৃতদেহ পাঁচ দিন ধরে মর্গে পচছে।।। পরিবারের আর এক সদস্য জানান যে কিভাবে তাঁরা দিন কাটাচ্ছেন তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।।শুধু এই পরিবারে এমন ঘটনা ঘটেছে এমন নয় আরও অনেক পরিবার এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।। অথচ পৌর আধিকারিক প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করেন এবং অমানবিক ভাবে বলেন ঘটনা এমন কোন কিছু না।। রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে চুল্লি র তাই কিছু সময় বন্ধ আছে।।। কিন্তু এখানে প্রশ্ন চুল্লি মেরামত করতে কি পাঁচ ছয় দিন লাগার কথা? যদিও এর কোন উত্তর দেয় নি কলকাতা কর্পোরেশন।।__


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।