সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ: ১২ই মার্চ:- আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে আলোচিত কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। এই কেন্দ্রে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃনমুল কংগ্রেস এর বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন ডি ওয়াই এফ আই এর রাজ্য সভাপতি মীনাক্ষী মুখার্জি।। বামফ্রন্ট প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবার সাথে সাথেই জোর আলোচনায় মীনাক্ষী মুখার্জি র নাম।।
সালটা ছিল ২০১৯—– তৃনমুল কংগ্রেস সরকার এর রাজ্য শাসন হয়ে গেছে প্রায় আট বছর পার।। এই আট বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য,ছাত্র যুব দের চাকরি ইত্যাদি কোন ক্ষেত্রে উন্নতি তো হয় ই নি বরং অবনতির শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে। ২০১৯ সালের ওই দিনটিতে সাধারণ মানুষের ভাতের লড়াই এর দাবীতে পথে নেমেছিল এস এফ আই/ ডি ওয়াই এফ আই এর সদস্যরা —— গন্তব্য নবান্ন অভিযান। শান্তিপূর্ণ মিছিল চলছিল নবান্ন অভিযানে। কিন্তু বেশী দূর এগোতে হয়নি। দলদাস পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান এর আক্রমনে ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল শান্তিপূর্ণ সেই মিছিল। রাস্তায় ফেলে নির্মম ভাবে লাঠিচার্জ করছিল পুলিশ।। জলকামান এর আক্রমনে সেদিন দিশাহারা হয়ে গিয়েছিল লাল ঝান্ডা হাতে বাংলার তরুণ প্রজন্ম। সেই অবস্থাতেও কমরেড মীনাক্ষী মুখার্জি তাঁর সহযাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং বারবার পুলিশ কে বলেছেন যে তাদের এভাবে মারবেন না। বলেছিলেন তাঁরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছেন। পুলিশ তাঁর কোন কথা তো শোনেইনি উল্টে মীনাক্ষী মুখার্জি কে রাস্তায় ফেলে মেরেছিল।।
সেই মীনাক্ষী মুখার্জি ২০২১ সালের সবথেকে জোরালো কেন্দ্র নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনে লড়ছেন শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা ব্যানার্জি র বিরুদ্ধে। এটাই হয়তো ডি ওয়াই এফ আই নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জির রাজনৈতিক কেরিয়ারের সবথেকে উল্লেখযোগ্য সময়। আজ যখন তিনি নির্বাচনে প্রার্থী তখন বারবার ঘুরেফিরে আসছে তাঁর সংগ্রামের ইতিহাস।২০১৯ সালের নবান্ন অভিযানে সহযাত্রীদের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখার্জি। পুলিশ এর লাঠির ঘায়ে রাস্তায় পড়ে গেলেও আরও লাঠির আঘাত করতে ছাড়েনি দলদাস পুলিশ।সেদিনের সেই তারুণ্যের স্পর্ধা দেখার আশায় বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মানুষ ও বামপন্থী শিবির।