রাজ্য

তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বর্বরোচিত হামলার শিকার সয়রাপুর কেএমবি স্কুলের এক পার্শ্বশিক্ষিকা


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:৩রা ফেব্রুয়ারি:–নৃশংসতার নজিরবিহীন ঘটনা ঘটালো তৃনমুল পরিচালিত পঞ্চায়েত উপপ্রধান_ এক বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছেন সয়রাপুর কেএমবি স্কুলের এক পার্শ্বশিক্ষিকা স্মৃতিকনা দাস এবং তাঁর বিবাহিত দিদি ও বৃদ্ধা মা।।

তৃনমুলের গুন্ডা বাহিনী প্রথমে রড দিয়ে মেরে রাস্তায় ফেলে দেয় আর তারপর পা দুটো দড়ি দিয়ে বেঁধে প্রায় ৩০ ফুট টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে একটা ঘরের সামনে ফেলে রাখে।।এই পাশবিক নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার ৪নম্বর নন্দনপুর গ্রামে।। অত্যাচারে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ওই শিক্ষিকা এবং তাঁর দিদি।। আহত অবস্থায় ওই গ্রামের মানুষ তাঁদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন গঙ্গারামপুর সাবডিভিশন হসপিটালে।। চিকিৎসা পর হসপিটাল থেকে ছাড়া পেয়ে তাঁরা গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আর অদ্ভুত ভাবে একজনকেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।।

ঘটনার সুত্রপাত হয় রাস্তা তৈরি করাকে কেন্দ্র করে।। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার জন্য রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে এই পাশবিক ঘটনা ঘটেছে।। স্মৃতিকনা দাস তাঁর অভিযোগে জানান রাস্তা তৈরি করা নিয়ে তাঁদের ৫০০ মিটার জমি দখলের চেষ্টায় ছিল তৃনমুল পরিচালিত পঞ্চায়েত উপপ্রধান।। পঞ্চায়েত থেকে তাদের জানান হয়েছিল ২৪ ফুট চওড়া রাস্তা হবে।। কিন্তু ওই অঞ্চলের অন্যান্য জায়গায় ১২ ফুট চওড়া রাস্তা হয়েছে।। কোন অজানা কারণে তাঁদের বাড়ীর কাছে এসে রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে ২৪ ফুট রাস্তার কথা বলতে আরম্ভ করে।। স্মৃতিকনা দেবী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা অনেক বার আলোচনা করেন পঞ্চায়েত এর সঙ্গে আর তারপর ঠিক হয় ১২ ফুট চওড়া রাস্তাই হবে।। কিন্তু এই ১২ ফুট চওড়া রাস্তা করতে গিয়েও তাদের বেশ কিছু জমি চলে যাচ্ছে দেখার পরও তাঁরা সন্মতি জানান গ্রামের মানুষদের সুবিধার জন্য।।

কিন্তু গত শুক্রবার বাড়ি থেকে বের করে রাস্তায় ফেলে এভাবে মারধর করে তৃনমুল কঙগ্রেস।। এর আগেও তাঁরা এদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ।। সেবার গুন্ডারদল তাঁদের বাগান থেকে গাছ কেটে নিয়ে ছিল।। প্রতিবাদ করেছিলেন স্মৃতিকনা দেবী এবং তখনো তাঁকে মারধর করে এই অভিযুক্তরা।।থানায় অভিযোগ করলে স্মৃতিকনা দেবীরা এলাকার শান্তি ভঙ্গ করছেন এই অভিযোগ করে মামলা দায়ের করে এই অভিযুক্ত রা।। এদিন শিক্ষিকা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং অভিযোগ এ জানান বাড়িতে তিনি ও তার মা থাকেন কোন পুরুষ মানুষ বাড়িতে নেই কারণ কর্মসুত্রে ভাই অন্য জায়গায় থাকে ।। এমতাবস্থায় তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।