মাধবী ঘোষ: চিন্তন নিউজ:৮ই মে:–ক্লারা জেটকিন ছিলেন জার্মানির কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ।মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক এবং নারী অধিকার আন্দোলনের বিশিষ্ট নেত্রী ।হাজার ১৯১১ সালে তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস সংগঠিত করেন। ১৯১৭ সাল পর্যন্ত তিনি জার্মানির সমাজ গণতান্ত্রিক দলের কর্মী ছিলেন পরে তিনি জার্মানির স্বাধীন গণতান্ত্রিক দলে যোগদান করেন ।সেই দলের দূর বামপন্থী স্পার্টাকাস লিগ থেকেই পরে জার্মানের কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়। তিনি সেই স্পার্টাকাস লীগের হয়ে ১৯২০ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত রাইখস্ট্যাগে প্রতিনিধিত্ব করেন।
জন্ম –ক্লারা আইজেনার, ৫মে ১৮৫৭ ওয়াই ডোরায়ু,, স্যাক্সোনি প্রদেশ,, জার্মানি।
মৃত্যু — ২০ জুন, ১৯৩৩ ,বয়স –৭৬
পেশা –রাজনীতি বিদ,বিপ্লবী।
ভাষা –জার্মান, রুশ, ইংরেজী।
উল্লেখযোগ্য পুরষ্কার –অর্ডার অব লেনিন।
তিনি জার্মানিতে সমাজ গণতান্ত্রিক নারী আন্দোলন বিকশিত করেন ১৮৯১ সাল থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত জার্মানির সমাজ গণতান্ত্রিক দলের পত্রিকা সমতা বা (Die Gleichheit) সম্পাদনা করেন। ১৯৯৭ সালে দলের নারী বিষয়ক বিভাগ ওমেন্স অফিস প্রতিষ্ঠিত হলে ইনি এই বিভাগের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। হাজার ১৯১০ সালে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক কর্মজীবী নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কোপেন হেলেন শহরে। এই সভায় ১৭টি দেশের শতাধিক নারী প্রতিনিধি যোগদান করেন ।এই সম্মেলনে নারী কার্যালয়ের নেত্রী হিসাবে তিনি যোগদান করেন এবং 8 মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস করার প্রস্তাব পেশ করেন। এবং ক্লারা জেটকিনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রস্তাবে তিনি বলেন প্রতি বছরে একই দিনে প্রত্যেকটি দেশে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করতে হবে। একই সাথে তিনি ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে নিজে পালন করেন ।এরপর থেকেই পৃথিবীব্যাপী ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়ে আসছে।
১৮৭৪ সালের দিকে জার্মানির নারী আন্দোলন ও শ্রম আন্দোলনের সাথে তিনি জড়িয়ে পড়েন। মাত্র ২১ বছর বয়সেই তিনি জার্মান সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভ্য হবার যোগ্যতা অর্জন করেন ।তিনি রাশিয়া থেকে পালিয়ে আসা মার্কসবাদী বিপ্লবী এবং
তার অন্যতম বন্ধু ওসিকা জেটকিন কে (1850–1889)বিয়ে করেন।
পারিবারিক জীবনে অনেক অভাব অভিযোগ রোগ ব্যাধি সবকিছুই তিনি ধৈর্য ও নিষ্ঠার সাথে মোকাবিলা করেন ।একদিকে সংসার অন্যদিকে দেশ ও জাতির মুক্তি আন্দোলন । উভয় ক্ষেত্রেই তার দায়িত্ববোধ সমান্তরাল পর্যায়ে চালিয়ে গেছেন।