রত্না দাস:চিন্তন নিউজ:১২ই জুলাই:–ফিলিপিন্সের পর এবার রাজস্থান।স্নাতক হতে গেলে এবার লাগাতে হবে গাছ
সর্বত্রই চলছে যথেচ্ছভাবে বৃক্ষ নিধন।এর ফলে বায়ু দূষিত হয়ে জলবায়ুর আমূল পরিবর্তন ঘটাচ্ছে অস্বাভাবিক ভাবে।আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে এই মানুষকেই।
রাজস্থান সরকার উদ্যোগ নিয়েছে যে প্রত্যক সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রত্যেক পড়ুয়াকে একটি করে গাছ লাগাতে হবে কলেজ চত্ত্বরে এবং স্নাতক ডিগ্রি পাওয়া পর্যন্ত তাদের পুকুর খননের কাজেও তাদের হাত লাগাতে হবে।রাজস্থান সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে আপামর জনতা।
রাজস্থান সরকারের এই উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে জল সংরক্ষণ ও কলেজ চত্বর পরিষ্কার রাখা।আর রয়েছে জাতির জনক গান্ধীজির দর্শন মেনে চলা।নতুন যারা সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ভর্তি হবে তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকরী করতে চলেছে শিক্ষা দফতর।পড়ুয়ারা যাতে পরিবেশের উপর যত্নশীল হয় তার জন্য এই উদ্যোগ।কারিগরি শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে ,”চলতি বছরের শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হবে এই নিয়ম। প্রত্যেক পড়ুয়া একটি করে গাছ লাগাবে এবং সেই গাছকে দেখাশোনা করবে স্নাতক না হওয়া পর্যন্ত।এই মহান কাজে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের তাদের পাশে থাকতে হবে।বিশেষত জল সংরক্ষনের জন্য পুকুর খনন করা ও বৃষ্টির জল সঞ্চয় করে ভূগর্ভস্থ জলের ঘাটতি মেটানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের শ্রমদান করার কথা বলেছেন শিক্ষা মন্ত্রী।পরিবেশের উন্নতির জন্য অন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হলে সেই বিষয়ে মতামত জানাতে পারেন কলেজের অধ্যক্ষরাও।
এর আগে স্নাতক হওয়ার শর্তে এমনই উদ্যোগ নিয়েছিল ফিলিপিন্স সরকার। প্রত্যেক পড়ুয়াকে ১০টি করে গাছ লাগাতে হবে বলে সরকার নির্দেশ দিয়েছে।এই প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হলে ১৭কোটি নতুন গাছ রোপন করতে সক্ষম হবে ফিলিপিন্সের স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী পড়ুয়ারা।
এবার আমাদের দেশেও এই নিয়ম চালু হলে পরিবেশের অনেকটাই ক্ষতি পূরণ করা যাবে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। শুধু রাজস্থানে নয় সব রাজ্যেই যাতে এই নিয়ম চালু হয় সেই আর্জি জানিয়েছে নেটিজেনদের একাংশ। এভাবে চলতে থাকলে বেসরকারি কলেজ গুলোও এই কর্মকান্ডে সামিল হবে বলে তারা আশাবাদী।