স্বাতী শীল : চিন্তন নিউজ:২৮শে জুলাই:-দেশের মানুষ যতই মহামারীর কবলে প্রান দিক না কেন, ছারখার হয়ে যাক না কেন গ্রাম থেকে শহর, রাজামশাই ব্যস্ত তার প্রিয় যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়। না সত্যজিৎ রায়ের কোন গল্পের প্লট এটি নয়। নিতান্তই বাস্তব ঘটনা।
একদিকে প্রতিনিয়ত অতিমারীর কবলে একের পর এক প্রাণের বলি হচ্ছে । আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু-মিছিল। এই অবস্থায় টেস্ট কিট বা জীবনদায়ী ঔষধের পরিবর্তে ফ্রান্স থেকে প্রথম দফায় পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভারতে এসে পৌঁছানোর খবর নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক বৈকি। ভারত চীন সীমান্তের উত্তেজনার আবহে কি তবে গোপনে সামরিক ক্ষেত্রে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে দেশ?এমনটাই প্রশ্ন করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
ফ্রান্সের যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা ডাসল্ট এভিয়েশনের তৈরি এই বিশেষ বিমান ফ্রান্সের মেরিগনেক থেকে প্রায় দশ ঘন্টার যাত্রা করে প্রথমে এসে পৌঁছাবে সংযুক্ত আরবশাহীতে। এরপর সেখান থেকে রাফাল চালানোয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভারতীয় বিমান চালকরাই বিমান গুলিকে নিয়ে আসবেন হরিয়ানার আম্বালায়, বায়ুসেনার বিশেষ অবতরণ স্থানে। আগামী বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্তির পর ভারতীয় বায়ুসেনার সতেরোতম স্কোয়াড্রন এর ‘গোল্ডেন অ্যারোজ’ এর অংশ হিসাবে সম্ভবত আগামী সাত দিনের মধ্যে লাদাখে মোতায়েন করা হবে এই বিশেষ বিমান গুলিকে। এই বিশেষ যুদ্ধবিমান কোন দেশের সীমান্ত এলাকা অতিক্রম না করেই বায়ুতে একশত পঞ্চাশ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত মিসাইল নিক্ষেপ করতে সক্ষম বলে সংবাদসূত্রে জানা গিয়েছে।
যেখানে স্বাভাবিক ভাবে একটি যুদ্ধবিমানকে একস্থান থেকে অন্য স্থানে মোতায়েন করতে অন্তত ছয় মাস সময় নেওয়া হয়, সেখানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাত্র সাত দিনের মধ্যে লাদাখের ভারত চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় এই এই বিমান মোতায়েন করার যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে,তাতে বিশেষজ্ঞ মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
তবে কি এবার অভ্যন্তরীন শত্রু করোনা ভাইরাসের মোকাবিলার পাশাপাশি বহিঃশত্রুর মোকাবিলায় প্রস্তুত হচ্ছে দেশ?এর উত্তর হয়তো সময়ই দেবে।
