মল্লিকা গাঙ্গুলী, চিন্তন নিউজ, ৩০মে: আজ ৩০শে মে অস্বাভাবিক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় দ্বিতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ ক’রে মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য প্রস্তুত। এই দ্বিতীয় এন ডি এ সরকারের প্রধান কাজ হতে চলেছে বাঙালী আবেগ কে উস্কে দিতে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সম্মান প্রদান।
আসলে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় অপ্রত্যাশিত ভাবে ১৮টি আসন পাওয়া, এবং বঙ্গ সন্তানদের (তৃণমূল দলের) বন্যার জলের মতো বিজেপিতে প্রবেশের উন্মাদনা মোদী কে বিপুল ভাবে উৎসাহিত করছে সন্দেহ নাই। এবার বিজেপির পাখির চোখ হলো আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখল! এই কারণেই ক্ষমতায় না বসতেই বাঙালীর দীর্ঘ দিনের আবেগে নাড়া দিতেই নেতাজীকে দেশের বৃহত্তর রাজনীতিতে টেনে আনা। জানা যাচ্ছে নেতাজীকে অখণ্ড ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি এখন চিন্তা ভাবনার স্তর পেরিয়ে আরও একধাপ এগিয়ে। নতুন মোদি সরকার আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২১শে অক্টোবর দিন টিকে সারা দেশে সাড়ম্বরে “আজাদ হিন্দ দিবস” হিসাবে পালন করা হবে। ইতিহাস অনুযায়ী ১৯৪৩ সালের ২১ শে অক্টোবর নেতাজী সিঙ্গাপুরে তাঁর স্বপ্নের “আজাদ হিন্দ ফৌজ” প্রতিষ্ঠা ক’রে আন্দামান- নিকোবর ও ইম্ফলে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এবং ঐ বছরই এক অস্থায়ী সরকার গঠন করেন, যে সরকারকে জাপান জার্মান সহ ৯টি দেশ স্বীকৃতি দেয়। মোদি সরকার নেতাজীকে সম্মান দেওয়ার জন্য ঐ ৯টি দেশের অনুমোদন ও নেবে। আরও শোনা যাচ্ছে ভারতীয় টাকায় গান্ধীজীর পরিবর্তে মোদী ঘোষিত “প্রথম প্রধান মন্ত্রী” নেতাজীর ছবি ব্যবহার করা হবে।
দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে মোদি তথা বিজেপির রাজনৈতিক স্ট্রাটেজি বাঙালী আবেগ কে ত্বরান্বিত করে বাংলা কে হস্তগত করা, তাই বাঙালীর নস্টালজিয়া নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু কে দেশের শীর্ষ সম্মান “অখণ্ড ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী” স্বীকৃতি প্রদান দ্বিতীয়ো মোদি সরকারের প্রথম কাজ। এখন দেখার আবেগ মথিত বাঙালী মোদি সরকারের এই রাজনৈতিক চমককে কি ভাবে গ্রহণ করে!!