সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ১৫ জুন: সমুদ্রের ব্যান পিরিয়ড উঠে যাচ্ছে আজ। এবার সমুদ্রে তরতরিয়ে ছুটবে মাছ শিকারী ট্রলার, বোট, নৌকা। জাল ফেলে তুলে আনবে সমুদ্রের সোনালী ফসল। ট্রলারগুলির মেরামতির কাজ শেষ। সুন্দর করে সেজেগুজে সার বেধে দাঁড়িয়ে ভাসবার অপেক্ষায়। কিন্তু সমস্যা ড্রেজিং। ড্রেজিং নির্ভর শংকরপুর পেটুয়া ঘাট।
কিন্তু ড্রেজিং ঠিকমতো হয় না। বেশ কয়েকবার ট্রলার ভর্তি মাছ ডুবেছে সমুদ্রে। কোটি কোটি টাকার মাছ নষ্ট হয়েছে। আশঙ্কায় ব্যাবসায়ীরা। তারা দাবী করেছিলেন এই সমস্যার সমাধান করতে। কিন্তু আধিকারিক শুনেও কোন প্রতিকার করেনি। গত বছরের চেয়ে এ বছর নাব্যতা আরও কমেছে, অনেক ডুব চর জেগে উঠেছে বন্দরের মুখে। ফলে মোহনা পর্যন্ত যাওয়া খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে লঞ্চ ট্রলারের। ফলে মরশুমের শুরুতেই দুশ্চিন্তায় মাছ ব্যাবসায়ীরা। তারপর মৈত্রাপুর মৌজার ফিসার প্রকল্পের বোল্ডার বাধ ভেঙ্গে গেছে। ফলে বোল্ডার পাথর সব জমা হয়েছে বন্দরের মুখে। এই পাথর গুলি এখন মৃত্যু ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বন্দরের অফিসার বিশ্বরূপ বসু জানান ড্রেজিং ও বন্দরের আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা পাঠান হয়েছে।
গত বছর মাছ ধরে ফেরার পথে চারটি ট্রলার ডুবে প্রচুর ক্ষতি হয়েছিল। দীঘা ফিশার মেন ও ফিস ট্রেডার্স এসোসিয়েশন সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন গত বছরের তুলনায় এ বছরের নাব্যতা আরও কমেছে। খালের লকগেট খুলে জল না ঢোকালে ট্রলার চালানো সম্ভব হবে না। পুর্ব মেদিনীপুর জেলার উপার্জনের ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে ড্রেজিং করার বিশেষ প্রয়োজন।