জেলা রাজ্য

পরিযায়ী শ্রমিকদের জবকার্ড সহ নানান সমস্যা নিয়ে, M.G.N.R.E.G.A প্রকল্পের ব্যাপক দূর্নীতির তদন্তের দাবিতে গণসংগঠনগুলির মিছিল


সুদীপ্ত সরকার: চিন্তন নিউজ:৬ই জুলাই:- জাঙ্গীপাড়া থানা গণসংগঠন সমূহের সমন্বয় কমিটি আজ বিকাল ৪টায় বি.ডি.ও অফিস ঘেরাও ও গণ ডেপুটেশন এর ডাক দেয়৷ মূলতঃ আমফান ঝড়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ঘর বাড়ি, প্রানীজ সম্পদ, ফসলের ক্ষতিপূরনের দাবিতে, শাসক দলের পেটোয়া লোকদের পাইয়ে দেওয়া টাকা ফেরত ও তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে, পরিযায়ী শ্রমিকদের জবকার্ড সহ নানান সমস্যা নিয়ে, M.G.N.R.E.G.A প্রকল্পের ব্যাপক দূর্নীতির তদন্তের দাবি সহ ব্লক এলাকার অন্যান্য সমস্যা নিয়ে গণ সংগঠন গুলির পক্ষ থেকে ৭জনের প্রতিনিধিদল বি.ডি.ও সাহেবের সাথে আলোচনায় বসেন৷

ঠিক বিকাল ৪টায় সি.পি.আই.(এম.) পার্টির কেন্দ্রীয় কার্য্যালয় থেকে শুরু হয় সহস্রাধিক মানুষের সুসজ্জিত মিছিল৷ দশটি অঞ্চল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারন মানুষ বেলা ৩টা থেকে ভিড় করতে শুরু করেন পার্টি কার্য্যালয়ে৷ এই পার্টি কেন্দ্র থেকেই গত ২৬,২৭,২৮শে জুন প্রশাসনের তরফ থেকে ক্ষতিপূরনের জন্য বিলি করা আবেদনপত্র লিখে দিচ্ছিলেন পার্টি কর্মীরা৷ বিনা পারিশ্রমিকে ফর্ম ফিলাপ করতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ দলে দলে হাজির হচ্ছিলেন পার্টি অফিসে৷২৮তারিখ প্রশাসন ফর্ম বিলি বন্ধ করে দিলে সকাল থেকে লাইনে অপেক্ষারত মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙ্গে৷ বি.ডি.ও সাহেবকে ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না৷ উনি দেখা করতে অস্বীকার করেন৷ ক্ষোভে ফুঁসতে থাকা মানুষজনকে নিয়ে ফর্ম বিলির দাবিতে শুরু হয় কমরেড গণেশ পালের নেতৃত্বে লাল ঝান্ডা নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ৷ খবর পেয়ে বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘেরাও মুক্ত করতে ছুটে আসেন জাঙ্গীপাড়া থানার বড়বাবু৷কমরেড সুদীপ্ত ঘোষ এবং নারায়ন কোলেকে বড়বাবু বি.ডি.ও সাহেবের কাছে নিয়ে যান৷ বি.ডি.ও সাহেব ১লা জুলাই সর্বদলীয় বৈঠকের পর এই বিষয়ে জানাবার কথা বলেন৷ তারপর ঘেরাও মুক্ত হন৷ সর্বদলীয় বৈঠকে ফর্ম না দেওয়ার কথা বলেন৷ প্রাপকদের তালিকা অফিসে টাঙ্গিয়ে দেন৷ রাজনৈতীক দলগুলিকে কোনো কপি দেওয়া হয় নি৷ টাঙানো তালিকা থেকে কয়েক হাজার মানুষের নাম দেখে সনাক্তকরন সন্ভব না৷ আমরা দাবি করেছি জি.পি. ভিত্তিক গ্রামের নাম সহ তালিকা সকল রাজনৈতীক দলকে দিতে হবে৷ যতটুকু দেখা বা জানা গেছে তাতে তালিকায় এমন ব্যক্তির নাম আছে যাদের কোনো ক্ষতি হয় নি৷শুধুমাত্র রাজনৈতীক উদ্দেশ্যে এই তালিকা তৈরী হয়েছে বলে আমরা মনে করি৷ঐদিন সাহেবকে বলে আসি ৬ই জুলাই আমরা আসছি৷ প্রকৃত, বঞ্চিত ক্ষতিগ্রস্তদের স্লোগানে, বিক্ষোভে কেঁপে যাবে বি.ডি.ও চত্বর৷ আজ শুরু থেকেই মানুষজনের সাথে দলীয় কর্মীরাও ছিলেন মেজাজে৷ সেই মেজাজী জমায়েত নিয়ে কমরেড হরপ্রসাদ সিংহরায়, সুদীপ্ত সরকার, মমতা বসুমল্লিক, চ্যাটার্জী, শিউলী রায় গণসংগঠনের অন্যান্ন নেতৃত্ব জাঙ্গীপাড়া বাসষ্ট্যান্ড ঘুরে হাজির হন বি.ডি.ও অফিসের গেটে৷ শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ৷

বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জেলা নেতৃত্ব কমরেড জয়দেব চ্যাটার্জী, কৃষক আন্দোলনের রাজ্য নেতৃত্ব কমরেড ভক্ত পান, ক্ষেতমজুর আন্দোলনের জেলা নেতৃত্ব কমরেড স্বপন বটব্যাল, ছাত্র যুব আন্দোলনের রাজ্য নেতৃত্ব কমরেড মিন্টু বেরা, জাঙ্গীপাড়া গন সংগঠনের নেতৃত্বগন৷ আলোচনা শেষ হলে সমস্ত বিষয়টা সংক্ষেপে বর্ননা করেন কমরেড শ্যামল পালধি৷ আলোচনার সিদ্ধান্ত কার্যকর না হলে আগামি দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের কথা জানিয়ে দেন৷ সভাপতি কমরেড বিরাজ সিংহরায় সকলকে সংগ্রামী অভিনন্দন জ্ঞাপন করে বিক্ষোভ কর্মসূচী শেষ করেন৷


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।