নিউজডেস্ক, চিন্তন নিউজ, ৬ সেপ্টেম্বর: দীর্ঘ বারো তেরো বছর পর ফের মাওবাদী আতঙ্ক জঙ্গলমহলে। জংলামহল জুড়ে একের পর এক মাওবাদী পোষ্টার, হুমকি মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০০৭-০৮ সালের ঘটনাকে। সেদিনও শুরুটা হয়েছিল এরকম ভাবেই। প্রথমে পোষ্টার, লিফলেট, তারপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি, তারপর খুন। কখনো রাতের অন্ধকারে, কখনো প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে একের পর এক খুন করা হয়েছিল সিপিআইএম নেতা কর্মীদের। গ্রামবাসীদের একাংশ বিভিন্ন কমিটির নামে মদত জুগিয়েছিল মাওবাদীদের।
তাই এবার জঙ্গলমহলে মাওবাদী পোষ্টার ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। অত্যন্ত দ্রুততার সাথে বৈঠকে বসেন ঝাড়গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। প্রশ্ন ওঠে পোস্টারের সারবত্তা নিয়ে। আদৌ সেগুলি মাওবাদীদের পোষ্টার কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে মাওবাদীরা যাতে গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সেই ব্যাপারে থানাগুলিকে তৎপর হওয়ার কথা বলেন ডিজি। গ্রামবাসীদের সাথে পুলিশের যোগাযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে, যাতে বাইরে থেকে কেউ গ্রামে ঢুকলে সেই খবর সহজেই পুলিশের কাছে পৌছায়।
এদিকে প্রশাসনিক বৈঠক শেষ হওয়ার পরই শাসক দলকে আক্রমন করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার অভিযোগ, জঙ্গলমহল পুনরুদ্ধার করতে পারবে না বুঝতে পেরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে শাসকদল। এর পরেই দিলীপ ঘোষের বিস্ফোরক মন্তব্য, “মাওবাদীদের সাথে আগে একাধিকবার বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” যদিও রাজ্যের শাসকদল তার এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন এই ঘটনার সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।