কলমের খোঁচা

জনস্বাস্থ্যে অগ্রনী ভূমিকায় মহামতি লেলিন।


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২২শে এপ্রিল:-আজ বিশ্ব এক মহাসঙ্কটের সম্মুখীন।। বিশ্বের ১৮৫ টি দেশের মানুষ মারন ভাইরাস করোনা সংক্রমণে বিপর্যস্ত।। পুরো বিশ্বের প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ এই কোভিড_১৯ এ সংক্রামিত।।

এইরকমই একটা বিশ্বমহামারী দেখা গিয়েছিল ১৯১৮_১৯১৯ এ।। বিশ্বের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় বিশ্বমহামারী।। সেবার মানুষ সংক্রামিত হয়েছিল এক বিশেষ ধরনের ফ্লু তে।। এই ফ্লু স্প্যানিশ ফ্লু নামে পরিচিত হলেও স্পেনে এই ফ্লু শুরু হয়নি।। খবরে প্রকাশ হয়েছিল প্রায় ৫ থেকে ১০ কোটি মানুষ এই মারন ফ্লুতে মারা গিয়েছিলেন।।

এই সময় চলছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ । যে সমস্ত সেনাবাহিনী এই যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল তাদের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া আসার মাধ্যমে এই ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে।। জানা গেছে অনেক ভারতীয় সেনারাও যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং তাঁরা দেশে যখন ফেরেন তাঁরা এই মারন ফ্লুএর ভাইরাস সঙ্গে করে আনেন এবং এই রোগের কারণে প্রায় ১কোটি ৬০ লক্ষ থেকে ১কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। এই সময় মহামতি লেলিন যুদ্ধ বন্ধের ডাক দিয়ে শান্তির ডিগ্রি জারি করেন এবং যে প্রধান শক্তি গুলোকে যুদ্ধ বন্ধ করার আবেদন জানান।। কিন্তু ব্রিটেন ও তার মিত্র শক্তিরা এই যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।। যদি তারা মহামতি লেলিনের শান্তি আহ্বান মেনে নিতেন তবে বহু মানুষ প্রাণে বাঁচতেন এবং এই ফ্লূ এর বিরুদ্ধে আরও ভালোভাবে যুদ্ধ করা যেত।।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসে এই অমানবিক অধ্যায় এক অন্ধকার অধ্যায় বলে বিবেচিত হয়। এরপর রাশিয়া গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।। বিপ্লব ও শ্রমিক রাষ্ট্র ধ্বংসের জন্য যুদ্ধবাজ শক্তি গুলো অমানবিক যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে এবং রাশিয়া অতিমারীর সাথে দূর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়।। কত লোক এই দুঃসময়ে মারা যান তা আজও অজানা।।

লেলিন ছিলেন কাউন্সিল অফ কমিশনারের চেয়ারম্যান যা বিপ্লবী সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদের সমতুল্য।। প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল জনস্বাস্থ্য বিষয়ে।। ১৯১৮ এর জুলাই তে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত কমিশানারেত গঠন করা হয়েছিল যার প্রধান কাজ ছিল সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ করা।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।