দেশ

প্রসঙ্গ: অন্ধকার ঘরে আলো, সময় ৯ মিনিট


মিতা দত্ত:চিন্তন নিউজ:৪ঠা এপ্রিল: ১৩০ কোটির দেশ, মানব সম্পদে এইদেশ সমৃদ্ধ। সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা ভারতবর্ষ পারে এই ১৩০ কোটির দায়িত্ব নিতে। কিন্ত বর্তমান কেন্দ্র সরকারের নীতি পারে না, তাই দেশবাসী অভুক্ত।এখন করোনো ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত যদিও সরকার অনেক আগে সচেতন হ’লে এই ভাইরাসের আক্রমণে আক্রান্ত হ’তই না এ দেশ। কিন্তু যে কারণেই হোক বিমান চলাচল বন্ধ না করাই বা প্রথম দিকে সতর্কতা মূলক কোনো কিছুই না করাই যা হ’বার হ’লো। একেই এই দেশের বাজেটের খুব অল্প অংশই স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় হয়, তাতে এই সংকটে যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিলন তা সবার জানা উচিত। কিন্তু তবুও দেশবাসী ভরসা করে, যে হয়তো সরকার তাদের ত্রাতা, ভরসা ছাড়া উপায় কী !!!

পরিযায়ী শ্রমিকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী কোনো আগাম সতর্কতা না দিয়েই ‘লকভাউন”ঘোষণা করলেন। তাঁরা কি অসহনীয় অবস্থায় পরতে পারেন ভাবা হয়নি। তাঁরা তো মানুষের অধিকার দাবি করতেই পারেন !!জনসংখ্যার বেশীরভাগটাই তো এই শ্রমিক শ্রেণী ।কেন তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে মোমবাতি জ্বালাবো?

এবার আসা যাক,প্রবীণদের কথায়। হঠাৎ করে স্বল্পসঞ্চয়ে ও ই,এম,আই এ ইন্টারেস্ট কমিয়ে দেওয়া হ’ল। একবার ভাবা হ’ল না ওইটুকুই এই প্রবীণদের জীবিকা নির্বাহের জন্য সম্বল। কেন তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দেবেন?

ঠান্ডা পানীয় তোলা হয় যেখানে সেখানকার শ্রমিক। সবাই তো জানেন পানীয় জলের সংকট চলছে, তবুও বলেও জলের এই কারখানা বন্ধ করা যাচ্ছে না। মাটির নীচে জল তুলে নিয়ে যাচ্ছে সরকারি ছাড়পত্রে ।এখন মোমবাতি জ্বালাতে বলছেন?

কতো আশা নিয়ে এই সরকারকে সবাই ক্ষমতায় এনেছিল। তখন কী কেউ জানতো সরকার শুধু কর্পোরেটের স্বার্থ দেখবেন। আর ব্যাঙ্কগুলিতে লালবাতি জ্বলবে।অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে। ক্ষুধাতুর দেশ হিসেবে ভারতের স্থান উচ্চে হবে।

সরকার কারো স্বার্থ দেখেননি একথা বললে ভুল হবে। ধর্মতন্ত্র সরকারের প্রশ্রয়ে তান্ডবলীলা করছে। এই লকডাউনে শ্রমজীবী মানুষ যখন পেটে জ্বালা নিয়ে এই নির্দেশিকা পালন করছে, তখন ধর্মের ধ্বজাধারীরা নেত্য চালিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানকে দূরে সরিয়ে অপবিজ্ঞানে মত্ত হয়ে গেছে। এরা মোমবাতি জ্বালাবেই। আর জ্বালাবে তথাকথিত কিছু নিরপেক্ষ যারা সব জেনেও “ইয়েস স্যার “বলে জীবন কাটাতে চায়। যারা বলে রাজনীতি বুঝি না।জনগণের একটা অংশ, সরকারি নির্দেশিকা বলে পালন করবে।কর্মসূচি পালিত হবে।

এটাই সব চেয়ে বড়ো সত্যি ভারতবর্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ প্রতিদিন প্রাণপাত করে অন্ধকারে একটু আলো জ্বালাচ্ছে। তাই ওটা একদিনের নয় ওটা প্রতিদিনের যতদিন না তারা সকাল আনতে পারছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।