মিতা দত্ত:চিন্তন নিউজ:৯ই জুলাই:- মাত্র সত্তর লাখের কম জনসংখ্যা বিশিষ্ট দেশ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লিবিয়া ২০১১ সালে গাদ্দাফির মৃত্যুর পর দুটি পরস্পর বিরোধী প্রশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে লিবিয়ার জনগণ। লিবিয়া যেন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে।লিবিয়ায় দুটি পরস্পর বিরোধী প্রশাসনে একদিকে রয়েছে জাতিসংঘের স্বীকৃত জিএনএ র প্রধান ফয়েজ আল সেরাজ যাকে সমর্থন করছে তুরস্ক, কাতার ও ইতালি ,অন্যদিকে লিবিয়ার হাফতার বাহিনী যাকে সমর্থন করছে জর্ডন,আরব আমিরাত,মিশর,রাশিয়া ও ফান্স।
রাশিয়ার গ্রুপের একহাজার দুশো ভাড়াটে সৈন্য লিবিয়ায় হাফতার বাহিনীর হয়ে লড়াই করছে – জাতিসংঘের রিপোর্ট।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি ঠিকাদার ওয়াগনার গ্রুপ স্নিপার দলগুলি সহ বিশেষত সামরিক কাজে বাহিনী মোতায়েন করেছিল।
হাফতাব বাহিনী একবছর আগে ত্রিপোলি এবং উত্তর – পশ্চিম লিবিয়ার অন্যান্য অংশ দখল করার জন্য যুদ্ধ শুরু করে। পরিস্থিতি এতো সংকটাপন্ন যে হসপিটালগুলোও এতোটাই ধ্বংসপ্রাপ্ত কোভিড চিকিৎসা করার পরিবেশ নেই।
বর্তমানে জাতীয় সমঝোতা সরকার হাফতার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযান শুরু করেছে।তিউনিসিয়ার সীমান্তের নিকটবর্তী ঘাঁটির দএল নিয়েছে ও আলওয়াতিয়া বিমানবন্দর পুনরুদ্ধার করেছে।
ফান্স এই মুহূর্তে লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতি চাইলেও তুরস্ক মানছে না।ফান্সের বক্তব্য তুরস্ক লিবিয়ায় দখলদারি চাইছে। এই নিয়ে এরদোয়ান ও ম্যক্রোর মধ্যে এই সংকট ন্যাটোয় সমস্যা দেখা দিয়েছে।
পুতিন চাইছে সিরিয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে লিবিয়ার ওপর দখলদারি কায়েম করতে পারে। আমেরিকার অবস্থান পরিষ্কার নয়।লিবিয়ার জনগণ দখলদারী শক্তির শিকার হয়ে পড়েছে। তাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত।