জেলা

কলকাতা জেলার খবর—–


চিন্তন নিউজ: ৩১ শে জুলাই:-সংবাদদাতা —মহম্মদ হাসিব ‌‌নয়া শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আবারও পথে এস এফ আই। সারা দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে কলেজ স্কোয়ার অবধি প্রতিবাদ মিছিল করে এস এফ আই।

সম্প্রতি ক্যাবিনেটে নয়া শিক্ষানীতি পাশ হয়েছে। যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে। এই শিক্ষানীতিতে অসম্পূর্ণ শিক্ষার্থী তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এবং শিক্ষার গেরুয়াকরণ এবং হিন্দি আগ্রাসনের পথও সুগম করতে পারে এই নয়া শিক্ষানীতি। শিক্ষাকেও বেসরকারিকরণের দিকে এগিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত ও স্পষ্ট।মূলত এই অভিযোগগুলোকে সামনে রেখেই প্রতিবাদে এস এফ আই। এদিন এস এফ আই রাজ্য কমিটির ডাকে প্রতিবাদ মিছিল ও মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয় কলেজ স্ট্রিটে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, রাজ্য সভাপতি প্রতিকুর রহমান, রাজ্যের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অর্জুন রায়, সমান্বয় রাহা এবং রানা রায়। সভায় সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ” এই নয়া শিক্ষানীতি শিক্ষাকে ব্যবসায়ীকরণ, সাম্প্রদায়িকরণ এবং কেন্দ্রীকরণের দিকে নিয়ে যাবে। যা ভারতের বহুত্ববাদী চরিত্রকে খর্ব করে আর এস এস, বি জে পির অখণ্ড হিন্দুরাষ্ট্রের পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা এই শিক্ষানীতি বাতিল করতে সমস্ত রকমের আন্দোলন সংগঠিত করব সমস্ত ছাত্র সমাজকে একযায়গায় এনে। “

সংবাদদাতা-কাকলি চ্যাটার্জি :- লকডাউনের শুরু থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ কলকাতা জেলা ধারাবাহিকভাবে কাজের মধ্যে রয়েছে। বিভিন্ন বিজ্ঞান কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬০০০০ মাস্ক এবং ৪০০০০লিটার স্যানিটাইজার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আজ সংগঠনের জেলা অফিসে তৃতীয় পর্যায়ের স্যানিটাইজার তৈরী চলছে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনোর দায়বদ্ধতায়।

আজ সারাভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি কলকাতা জেলার পক্ষ থেকে তৈরী করা হল বর্তমান সময়ের অতি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য দ্রব্য মাস্ক। প্রথম পর্যায়ে ৩০০টি, আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক মহিলাদের কাছে পৌঁছনোর প্রচেষ্টা রইলো।

দীর্ঘদিনের লড়াকু কমরেড, সহযোদ্ধা মহুয়া সেন চ্যাটার্জি আজ হঠাৎই পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে। পেশায় ছিলেন একজন আইনজীবী। ২০১৬ র বিধানসভা নির্বাচনে সাহসের সঙ্গে সামলেছেন পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব। বর্তমান লকডাউনের সময়েও বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত, খাবার ও মাস্ক নিয়ে পৌঁছে গেছেন প্রান্তিক পরিবারগুলোতে। মহিলা আন্দোলন আজ সত্যিই হারিয়ে ফেললো এক নির্ভীক দৃঢ়চেতা কর্মীকে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।