সন্দীপ চক্রবর্তী, চিন্তন নিউজ, ১৫ এপ্রিল: ইমরান তাহির। ৪০ বছর বয়সী এই দক্ষিণ আফ্রিকান লেগ স্পিনারের ঘূর্ণিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইডেন গার্ডেন্সে ইন্দ্রপতন ঘটে গেল। যার ফলে এই মুহুর্তে পরপর তিন ম্যাচ হেরে ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে আই পি এল ২০১৯ এ প্লে অফে যাওয়ার রাস্তাটা নিজেরাই কঠিন করে ফেললো নাইটরা।
এদিন চেন্নাই সুপার কিংস টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান দীনেশ কার্তিকের নেতৃত্বাধীন কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। শুরুটা অবশ্য খারাপ হয় নি এদিন নাইটদের। এদিন সুনীল নারিন (২ রান ৭ বলে) রান না পেলেও ক্রিস লিন শুরুর থেকেই মারমুখী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন এবং শুধুমাত্র তার চওড়া ব্যাটের উপর ভর করেই (৮২ রান ৫১ বলে, ৭টি চার এবং ৬টি ৬)প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই এর সামনে ১৬২ রানের লক্ষমাত্রা রাখেন। যদিও এদিন নাইটদের লিন ছাড়া আর কেউই সেভাবে রান করতে পারেননি। সৌজন্যে ইমরান তাহির (৪-০-২৭-৪)। তার ঝুলিতে লিন, নীতিশ রানা, উথাপ্পা এবং রাসেল এর উইকেট। কার্যত তার বোলিং ই এদিন নাইটদের ব্যাটিং শেষ করে দেয়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই সুপার কিংসও শুরুতে পাওয়ার প্লের মধ্যেই দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বেশ বিপদে পড়ে যায়। পরে সুরেশ রায়না (৫৮ রান ৪২ বলে) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (৩১ রান ১৭ বলে) চেন্নাইকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। তবে এদিনের নাইটদের স্পিনাররা ভালো বল করলেও পেসাররা এদিনও ব্যর্থ। নাইট রাইডারসের সবচেয়ে সফল বোলার সুনীল নারিন (৪-১-১৯-২)। এদিনের জয়ের সুবাদে চেন্নাই সুপার কিংস ৮ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিলের সবার উপরেই রইলো।
নাইটদের হারের হ্যাটট্রিকের ময়নাতদন্ত করতে বসলে মূলতঃ তিনটি কারণ সামনে উঠে আসবে। ১. অতিরিক্ত রাসেল নির্ভরতা- যে দিন রাসেল খেলবেন সেদিন নাইটদের গাড়ি তরতরিয়ে চললেও রাসেল ব্যর্থ হলে নাইটরা চলে যাবে অন্ধকারের বধ্যভূমিতে, ২. অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের নিজের খারাপ ফর্ম আর ক্যাপ্টেনসি এবং টিমের দুর্বল বোলিং ও ফিল্ডিং। এই সমস্ত বিভাগে এখনই যদি নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট কড়া পদক্ষেপ না নেন তাহলে কিন্তু প্লে অফার রাস্তাটাও কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাবে।
