শাশ্বতী ঘোষাল: চিন্তন নিউজ:-১৪ই জুন:–
মুখ্যমন্ত্রী র হুঁমকিতে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা আরো সংকটজনক হয়ে উঠল পরিস্থিতি।
গত সোমবার (10 th June) রাতে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে N. R. S মেডিক্যাল কলেজ কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। মৃত রোগীর পরিবারের হাতে চরম নিগৃহীত হন জুনিয়র ডাক্তাররা। গুরুতর আহত হন জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়।
এই ঘটনায় সমগ্র চিকিৎসক সমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি ঘোষণা করেন এবং স্থায়ী নিরাপত্তার দাবী তোলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী N. R. S. হাসপাতালে এসে হুঁশিয়ারি দেন চার ঘন্টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জারি করা হবে “এসমা”।হস্টেল ছাড়তে হবে এবং সব রকম সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হবেন। এরপর পরিস্থিতি আরো ঘোরালো হয়ে ওঠে। ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন চিকিৎসকরা ।
এদিকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার খবর পৌঁছতেই গণ হারে ইস্তফা দিতে শুরু করেন সেখানকার ডাক্তাররা। সূত্রের খবর অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত মোট ১৮ জন ডাক্তার ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে পরপর ৩ টে বিভাগে নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ক্রমেই সংকটজনক হয়ে উঠছে মেডিকেল কলেজের পরিস্থিতি।
বাংলার চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা দেশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসকগণ N. R. S. মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতীকি প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নয়াদিল্লীর AIIMS এর চিকিৎসক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে যে, আজ শুক্রবার সমস্ত ডক্টর র প্রতীকি ধর্মঘট , বা কর্মবিরতি পালন করবেন AIIMS র চিকিৎসকগণ ।পুরোপুরি বন্ধ থাকবে AIIMS.
রাজ্যে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্যপাল জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন জানান।
এদিকে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর চিকিৎসকগণ জানিয়েছেন যে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সহমর্মিতা আশা করেছিলেন । অথচ ওনার বক্তব্য শুনে তাঁদের মনে হয়েছে যে চিকিৎসকরাই দোষী।
এখন দেখা যাক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী বিচক্ষণতার সঙ্গে এই সংকটজনক পরিস্থিতি কতটা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন ।