নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:৭ই আগস্ট :–কাশ্মীরি ছাত্রদের নিরাপত্তায় উৎকণ্ঠিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারা প্রত্যাহারের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী উপত্যকার জনতা রীতিমতো আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার কাশ্মীরি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হোস্টেলের নিয়ম শিথিল করল বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুরের হোস্টেলে ঠাঁই পেতে গেলে এমনিতে একাধিক বিধি নিষেধ রয়েছে। সেসব নিয়ম স্বাভাবিকভাবে কাশ্মীরি ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সব কাশ্মীরি পড়ুয়ার জন্যই ক্যাম্পাসের ভিতরে হোস্টেলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডিন অফ স্টুডেন্ট ডঃ রজত রায় জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আগামী দিনে পরিস্থিতি সচল হলে বিষয়টি ফের বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্ট বলেন, “রোজগার, দূরত্ব, সব কিছু বিবেচনা করে হোস্টেল দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের। সোমবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময় টাকা পয়সা নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে ছাত্রছাত্রীরা। তাই আমরা এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে তাদের হোস্টেলে ঘর দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করেছি”।
জানা যাচ্ছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কাশ্মীরি পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১০০। এ বছর একাধিক পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। সাধারণত একাধিক কারণে হোস্টেল না পেয়ে পিজি (পেয়িং গেস্ট) বা মেস খুঁজতে থাকেন যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা। কাশ্মীরি পড়ুয়ারাও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু, এই মুহূর্তে কাশ্মীরি ছাত্রদের হাতে অর্থ নাও থাকতে পারে, তাই তাঁদের জন্য নিয়ম শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
যাদবপুরের এসএফআই নেতা দেবরাজ বলেন, তাদের সংগঠন ওপেন কল দিয়েছে, কোনো সমস্যা হলে কাশ্মীরি ছাত্ররা যেন এস এফ আই এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের জন্য এসএফআই সংগঠন থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবে”।
উল্লেখ্য, যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেই কাশ্মীরি পড়ুয়াদের ভিড় সবথেকে বেশি। ফলে, বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। সূত্রের খবর, কাশ্মীরি ছাত্র ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী গতকালই হোস্টেল কর্তৃপক্ষের কাছে সহপাঠীদের জন্য আবেদনও জানায়। সে সবের ফলেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এহেন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন, এই মূহুর্তে বহু কাশ্মীরি ছাত্রছাত্রীকেই টাকা পাঠাতে পারছে না তাঁদের পরিবার।