প্রতিবেদন : কাকলি মৈত্র:চিন্তন নিউজ:২৮শে আগস্ট:- গত কয়েক বছর ধরেই মালদা জেলার গঙ্গা নদী ও ফুলাহার নদীর মধ্যেকার দূরত্ব ক্রমশ কমে আসছে। বর্তমানে এই দুই নদীর মধ্যেকার দুরত্ব মাত্রই ১,২০ কিমি । তাই মালদা জেলার বিপদের আশঙ্কাও বেড়ে চলেছে। নদী ভাঙনের প্রভাব পড়বে এই জেলায়। সেচ দফতরের রিপোর্টে জানা যাচ্ছে যে ৫০ থেকে ১০০ মিটার প্রতি বছরই গঙ্গার ভাঙন হচ্ছে। এই দুই নদী একসাথে মিশে যেতে পারে এই আশঙ্কাই করছেন নদী বিশেষজ্ঞ রা।সেচ দফতর সূত্রে খবর পাওয়া গেছে যে গঙ্গার জল বহন ক্ষমতা ১৬ লাখ কিউসেক, আর ফলাহার নদী ৪ থেকে ৫ লাখ কিউসেক জল বহন করতে পারে। ফলে, জেলা সেচ দফতরের আধিকারিক রা সার্ভে করে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। যদিও রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই।
রাজ্য সরকার ১০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে বহুদিন ধরেই, যদিও সেটা নিয়ে সরকার একটা দায়সারা মনোভাব নিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে।সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র জানিয়েছেন যে, এই প্রজেক্ট মুখমন্ত্রী – র বিবেচনাধীন । একই সাথে এটাও বলেছেন যে, এটি কেন্দ্রে র বিষয় তাই কেন্দ্রীয় সরকার যদি অর্থ সাহায্য না করে সাময়িক ভাবে প্রতি কার করা গেলেও দীর্ঘ মেয়াদি প্রতি কার পাওয়া সম্ভব নয়। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লক্ষ্মী নারায়ন সতপতি বলেন যে নদীর গভীরতা কতো, কোথায় গিয়ে তা ধাক্কা খাচ্ছে, নদী গতিপথ পরিবর্তন করবে কিনা এর উপর নির্ভর করছে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প। মালদা মহানন্দা টোলা বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১লাখ মতো বসবাসকারী মানুষ আছেন। দুটি নদী মিলে গেলে এই মানুষ গুলো র জমি সব জলের তলায় তলিয়ে যাবে। এই বিষয়ে মালদা জেলার বাসিন্দা রা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।