বিশেষ প্রতিবেদন: কৃষ্ণা সাবুই : চিন্তন নিউজ:১৩ই জুন:– জাতিসংঘ হচ্ছে বিশ্বের জাতি সমুহের একটি সংগঠন। যার মুল লক্ষ্য হোলো
আন্তর্জাতিক স্তরে নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি র উপর নজর রাখা। সর্বপোরি মানবাধিকার রক্ষায় পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ রক্ষা করা। ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর ৫১ টি রাষ্ট জাতিসংঘের সনদে সাক্ষর করার মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, যুক্তরাজ্য, পোলান্ড, ফ্রান্স, ক্যালিফোর্নিয়া, সানফ্রান্সিস্কো, ব্রাজিল, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস ছাড়াও আরো অনেক দেশ জাতিসংঘে অন্তর্ভুক্ত হয়।
দু বছর অন্তর নির্বাচনের মাধ্যমে সদস্য পদ নবীকরন এবং নতুন দেশ অন্তর্ভুক্তি করন করা হয়। এই বছরে ৯ই জুন ২০২২ এই নির্বাচন হয়।
বলে রাখা ভালো ভারতবর্ষের সদস্য পদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এই বছরে ৫টি দেশ নতুন করে নির্বাচিত হয়েছে । দেশ গুলি হলো ইকুয়েডর,জাপান,মাল্টা, মোজাম্বিক আর সুইজারল্যান্ড।স্থায়ী সদস্য পদ নয়। অস্থায়ী ।২ বছর জাতিসংঘে থাকতে পারবে। মেয়াদ শুরু হচ্ছে ১লা জানুয়ারি ২০২৩থেকে। ঘোষনা করেন প্রেসিডেন্ট অফ জেনারেল এ্যাসেমব্লী শাহীদ আবদুল্লা। নিরাপত্তা বিষয়ে ১৫টি দেশ তার মধ্যে চীন,ফ্রান্স,রাশিয়া,
ইউনাইটেড কিংডাম, ইউনাইটেড স্টেট্ স স্থায়ী সদস্য হিসেবে,এবং বাকি দেশ গুলি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের সদস্যপদ পেতে হয়।
১৯২টি রাষ্টর ভোট দানের অধিকার আছে।
৪৮ঘন্টা আগে সমস্ত দেশের নাম নথিভুক্ত করতে হয়েছে। ব্যালটের মাধ্যমে ভোট হয়।
নতুন ৫টি দেশ দারুন ভাবে সাফল্য পেয়েছে।
আফ্রিকান এবং এশিয়ান প্যাসিফিক গ্রুপ মোজাম্বিক পেয়েছে ১৯২ভোট। জাপান ১৮৪, ম্যাঙ্গোলিয়া ৩ ইকুয়েডর লাটিন আমেরিকার ভোট ১৯০ সুইজাল্যান্ড ১৮৭ মাল্টা ১৮৫ ভোট আমরা যেটা লক্ষ্য করলাম ভারত এই নির্বাচনে অংশ গ্রহনই করলো না।
সমগ্র বিশ্ব বাসীর কাছে মাথা হেঁট হয়ে গেলো।
ভাবতেই হচ্ছে,ভারতের নিদারুন অর্থনৈতিক সমস্যা,রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা, সর্ব ক্ষেত্রে অস্থিরতা আন্তর্জাতিক দুনিয়া তে ভারতের গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অসহনীয় ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি। সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি মানুষের জীবন কে শেষ করে দিচ্ছে।সর্বোপরি মানবাধিকার চরমভাবে লাঞ্ছিত।
এই সমস্ত পরিস্থিতিকে আড়াল করতে চাইছে ভারত সরকার। সরকার চাইছে না অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে সহযোগীতার হাত ধরে নিজের দেশের সর্বাধিক উন্নয়ন সাধন করতে।
জাতিসংঘে ভারতের অনুপস্থিতি বিজেপি পরিচালিত সরকারের বৈদেশিক নীতির গ্রহণ যোগ্যতা নিয়েও এক বিরাট প্রশ্ন তুলে দিল।