সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ২৬ আগস্ট: দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীন। এই দুই দেশের মধ্যে কোনরকম যুদ্ধ বা সংঘর্ষ অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ভারতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত সান ওয়েইডঙ। কিছুদিন আগে গাল ওয়ানে যে সংঘর্ষ হয়েছিল তা ইতিহাসের পাতায় একটি সংক্ষিপ্ত মূহূর্ত বলে মন্তব্য করেছেন ভারতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত। ভারত ও চীন সীমান্তে যে উত্তেজনা রয়েছে তা প্রশমনে দুই দেশই সমান ভাবে সচেষ্ট।
গত ১৮ই আগষ্ট চীন ও ভারত যুব ওয়েবমিনারে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে তিনি বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন যা পরে লিখিত আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।। তিনি বলেন “দুই উদীয়মান গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর নিজস্ব মতধারার রেখা টেনে দেওয়ার মানসিকতা বর্জন করা উচিৎ।একই সঙ্গে অপরের ক্ষতি যে নিজের লাভের পুরোনো চিন্তা ভাবনা সরিয়ে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। না হলে দুই দেশই ভুল পথে চালিত হবে।”
তিনি আরও বলেন যে, কিছুদিন আগে সীমান্তে যে উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে তা ভারত বা চীন কোন দেশের নাগরিকরা দেখতে চায় না। দুই দেশেই এমন উত্তেজনা সৃষ্টি যাতে না হয় তা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। দুই দেশেই যাতে উন্নতি হয় তার জন্য বিরোধ এড়িয়ে শান্তির পথে চলতে হবে। ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী “আত্মনির্ভর” ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন। এই কারণে ভারত-চীন সমঝোতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। চীনা রাষ্ট্রদূত বলেছেন যে দুই উন্নত মানের অর্থনৈতিক দেশ একে অপরকে বন্ধুত্বের বাঁধনে বেঁধে চলতে হবে তবেই আসবে দুই দেশের সম্পূর্ণ উন্নতি।
সান ওয়েইডঙ জানিয়েছেন যে ভারতের যেসব নাগরিকরা চীনা ভাষার প্রতি আগ্রহ আছে বা তারা এই ভাষায় জ্ঞান অর্জন করতে চায় তাঁদের জন্য একদল প্রশিক্ষিত শিক্ষক তৈরি আছেন। এখন ভারত অনুমতি দিলেই তাঁরা শিক্ষা প্রদান করতে পারেন। গাল ওয়ান সংঘর্ষের পরেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চীনের চুক্তি আছে বলে রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন যে চীনের সমাজ ব্যবস্থা, শিক্ষা ইত্যাদি ভারতের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট চীনা মডেলের আমদানি বা রফতানি করেন না। উন্নততর হতে গেলে দূই দেশকেই সমান সম্মান, মর্যাদা দিতে হবে। তবেই দুই দেশ পরিপূর্ণ সাফল্যের মুখ দেখবে।