জেলা

ভারতের প্রবাদ প্রতীম কমিউনিষ্ট নেতৃত্ব। মেহনতি মানুষের অবিসম্বাদি নেতা জ‍্যোতিবসুর একশত সাত তম জন্মদিনে।


কিংশুক ভট্টাচার্য্য: চিন্তন নিউজ:৮ই জুলাই:- ভারতের শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম অগ্রণী নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধেয় জ্যোতি বসুর বুধবার আট জুলাই একশত সাততম জন্মদিন – সারা দেশের তথা রাজ্যের সাথে বাঁকুড়াতে‌ও এই প্রবাদপ্রতিম জননেতার জন্মদিনটি গভীর শ্রদ্ধার সাথে পালন করলেন বাঁকুড়া জেলা মুটিয়া মজদুর ইউনিয়ন (সিআইটিইউ)। এদিন সকালে বাঁকুড়ার কুন্ডু কোল্ড ষ্টোরে কাজ বন্ধ করে শ্রমিকেরা সামিল হন এই কর্মসূচীতে – এআইটিইউসি অনুমোদিত ইউনিয়নের শ্রমিকেরা তথা ষ্টোরের কর্মচারীরাও এই কর্মসূচীতে যোগ দেন। সিআইটিইউ’র রক্তপতাকা উত্তোলন ও কমরেড জ্যোতি বসুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের পর এক সংক্ষিপ্ত সভায় কমরেড জ্যোতি বসুর জীবনের বিভিন্ন সংগ্রামী দিকগুলি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বাঁকুড়া জেলা মুটিয়া মজদুর ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক তপন দাস ও সিআইটিইউ নেতা প্রতীপ মুখার্জী। –

ব্যারিস্টারি পাশ করেও বিনা পারিশ্রমিকে শ্রমজীবীদের স্বার্থে লড়েছিলেন মাত্র তিনটি মামলা আর এই পেশায় যোগ না দিয়ে কিভাবে নিজেকে একজন শ্রমিক আন্দোলন তথা কমিউনিষ্ট আন্দোলনের সর্বক্ষণের কর্মী হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন বক্তারা তা তুলে ধরেন। রেল শ্রমিক কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে স্বাধীনতার আগেই ঊনিশ শো ছেচল্লিশ সালে হয়েছিলেন অবিভক্ত বাংলার আইন সভায় সদস্য আর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে স্থাপন করে গেছেন এক অনন্য দৃষ্টান্ত। বারে বারে গ্রেপ্তার করেও তাঁকে কোনভাবেই বিরত করা যায়নি সংগ্রাম আন্দোলনে অংশগ্রহণ থেকে। ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি(মার্কসবাদী) ও সিআইটিইউ গঠনেও রেখেছিলেন অনন্য অবদান। ঊনিশ শো ঊনষাটও ঊনিশ শো ছেষট্টি ‘র খাদ্য আন্দোলন, এ রাজ্যের ঊনিশ শো সত্তর থেকে সাতাত্তর আধা-ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান তথা রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সর্বস্তরের শ্রমজীবি মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাওয়ার যে নজির গড়ে তুলেছেন তাও আলোচনায় তুলে ধরা হয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।