রত্না দাস:চিন্তন নিউজ:১৬ই আগস্ট:- উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলায় ফের এক সপ্তাহের মধ্যেই ঘটলো আরেকটি নৃশংস ধর্ষণের ঘটনা।লখনৌ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন একটি গ্রামের ঘটনা। গত শুক্রবার মেয়েটিকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। তারপর তাকে চরম নৃশংসভাবে খুন করে তার চোখ উপড়ে জিভ কেটে নেওয়া হয়।
নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল থেকেই মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি আখ ক্ষেতে তার মৃতদেহ খুঁজে পাই।ওর চোখ দুটো কোটর থেকে বেরিয়ে ছিল। জিভ কাটা ছিলো। গলায় ওড়না জড়ানো ছিল। ওড়না দিয়েই শ্বাসরোধ করে ওকে মারা হয়েছে।’এই ঘটনায় ওই গ্রামেরই দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের জমি থেকে কিশোরীর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
জেলার পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, ‘ কিশোরীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। ধর্ষণ ও খুনের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।এছাড়াও জাতীয় সুরক্ষা আইনের অধীনে মামলা দায়ের করব আমরা।’
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি টুইটারে লেখেন, ” এই নৃশংস ঘটনা যদি এখনও ঘটে তাহলে বর্তমান বিজেপি সরকারের মধ্যে সেই তাগাদা কোথায়,যে এই নির্মম হত্যা, রোধ করার ঠিকঠাক আইনপ্রণয়ন করে?”
ভীমসেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ এই ঘটনায় তীব্র ভাবে আক্রমণ করেন বিজেপি সরকারকে। তিনি যোগী আদিত্যনাথ এর পদত্যাগ দাবি করেন। চন্দ্রশেখর আজাদ বলেন,
‘ বিজেপি সরকারের অধীনে দলিতদের উপর অত্যাচার এর ঘটনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।এই রাজ্যে কেউই সুরক্ষিত নয়। যদি এটাকে জঙ্গলরাজ বলা না হয় তাহলে কোনটা কে বলা হবে? আমাদের মেয়েরা নিরাপদ নয়, আমাদের বাড়ি নিরাপদ নয়। সর্বত্র একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই এই রকম আরেকটি নৃশংস ঘটনা ঘটে। উত্তরপ্রদেশের হাপুড়ে ছয় বছরের একটি নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়।মেয়েটি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।তার অবস্থা এখনও খুবই সঙ্কটজনক। অভিযুক্ত কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এই সব ঘটনায় সেখানকার গ্রামবাসীরা খুবই আতঙ্কিত। তাদের বক্তব্য,’ আমরা মেয়েরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছি এখানে।’