অর্থনৈতিক দেশ

আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ব্ল্যাক লিস্টেড(black listed) সেই আদানিসহ দেশের বৃহৎ ব্যবসায়ীদের গত অর্থনৈতিক বর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি ১.৭ ট্রিলিয়ন টাকা দেনা মুকুব করে দিয়েছে।


বিশেষ প্রতিবেদন:পাপিয়া সিনহা আচার্য্য:চিন্তন নিউজ: ০১/১২/২০২৪:– ইউনিয়ন মিনিস্টার পঙ্কজ চৌধুরী সংসদে জানালেন – গত অর্থনৈতিক বর্ষে দেশের ব্যাংকগুলি দেশের বৃহৎ ব্যবসায়ীদের ১.৭ ট্রিলিয়ন টাকা দেনা মুকুব করে দিয়েছে।
এই টাকা কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা, যা ব্যাংকে সঞ্চিত থাকে।
এই টাকায় কতো হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কারখানা, বা কর্মসংস্থান হতে পারতো সে হিসাব করাই যেতো। — সেটা না করে এই বিপুল পরিমাণ ঋণের টাকা কেন মুকুব করে দিল সরকার , সেই কথাটাই পরিষ্কার হয়ে যাওয়া উচিত।
সরকারের কাজ আমাদের দেয় ট্যাক্সের টাকায় আমাদের পরিষেবা দেওয়া ।
Tax আমরা নানা ভাবে দিয়ে থাকি –সরাসরি বা জীবন যাত্রার জিনিসপত্র কেনাকাটার মধ্যে দিয়ে।
কিন্তু ব্যাঙ্ক এর টাকা সম্পূর্ণ অন্য — গরিব, মধ্যবিত্ত , উচ্চবিত্ত মানুষ অনেক কষ্টের তিল তিল করে সঞ্চিত আমানত জমা রাখে ভবিষৎ এর জন্য। মেয়ের বিয়ে ,
অসুখ , বিপদ, অবসর এর নিরাপত্তা ইত্যাদি কারণে।
Bank একটা নির্দিষ্ট শর্তে এই টাকা গচ্ছিত রাখে।
অতীতের নানা চুরির অভিজ্ঞতা থেকে সরকার bank কে রাষ্ট্রীয়করণ করেছিল।
বর্তমানে তৈরি হওয়া
বেসরকারি bank গুলোকে ও রিজার্ভ bank এর নিয়ম মেনে চলতে হয়।
এখন সেই ব্যাংক ও বেশী সুদের লোভ দেখিয়ে মধ্যবিত্ত দের টাকা খোলা বাজারে খাটাচ্ছে।
কিন্তু সোজা সরল গরিব মধ্যবিত্ত রা এখনও রাষ্ট্রয়ত্ত bank কেই নিরাপদ মনে করে।
বিপদ হচ্ছে এখানেই –
এই নিরাপত্তায় মারাত্মক ভাবে ফাটল ধরিয়েছে বিজেপি সরকার —
যারা তৃণমূল এর উপরে বিরক্ত হয়ে, বা ধর্মীয় মতাদর্শ এর কারণে বিজেপি কে সমর্থন করছেন –তারা স্বপ্নেও ভাবতে পারছেন না -কি সর্বনাশ হচ্ছে মানুষের ।
সবাই দেখছে –আদানিকে বড়ো অংশ টাকা মকুব করলো এই সরকার। আন্তর্জাতিক ব্যবসায় যখন কিনা এই গোষ্ঠীকে black listed করা হয়েছে, সেই সময় আদানির মতো অনৈতিক বৃহৎ পুঁজিকে সরকার বাঁচিয়ে দিল আমাদের সঞ্চিত পুঁজি তাদের হাতে তুলে দিয়ে।
অনেকেই ভাবছেন -সরকারের টাকা তো সব দল ই চুরি করে।
এই ভাবনা টা পরিষ্কার করার জন্যেই এই লেখা ।
এই টাকাটা আমাদের অমানতের টাকা –সরকারের কাজের টাকা নয়।
একসময় রিটায়ারমেন্ট এর পরে সরকারি কর্মচারী দের রোজগার বেড়ে যেতো। কারণ, সুদের হার ছিলো 12.5.%আর uti থেকে তো 20%উপর পাওয়া যেতো। সেটা নামতে নামতে এখন এমন জায়গাতে এসেছে যে, আমাদের টাকায় ব্যবসা (সঙ্গে শিল্পপতি দের দান )করার জন্য আমাদের ই servic tax দিতে হচ্ছে। এর পরে হয়তো সুদ পাবার বদলে আমানত tax দিয়েই bank এ মানুষকে টাকা রাখতে হবে।
যেমন , আমরা ব্যাংকের ভল্টে সোনা রাখি এবং তার জন্যে ব্যাংক কে টাকা প্রদান করি।
ভাবতেই হবে। ঘুরপথে আমাদের জমানো টাকায় ব্যবসা করবে ব্যবসাদার, আর লভ্যাংশ ভোগ করবে ব্যবসায়ী পুঁজিপতি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।