দীপশুভ্র সান্যাল: চিন্তন নিউজ:১ জুলাই:-
নবদ্বীপ থেকে কোচবিহার গামী বেসরকারি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনায় উদ্বিগ্ন নিত্যযাত্রীরা। জানা গেছে বাসের চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জিনিসপত্র লুঠ করে নেয় চার-পাঁচজনের একটি দুষ্কৃতীর দল। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন একজন।
এই ঘটনার পরই এলাকায় আসেন মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছোন কোচবিহার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্তপ্রতিম রায় সহ অন্যান্যরা।
রানাঘাট থেকে কোচবিহার অভিমুখে ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে একটি বেসরকারি বাস আসছিল। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ পুণ্ডিবাড়ি ফালাকাটা জাতীয় সড়কের মাঝে ঘোকসাডাঙ্গা হিমঘর চৌপতি এলাকা অতিক্রম করার পর রাইস মিল সংলগ্ন এলাকায় দুঃসাহসিক ঘটনাটি ঘটে। ফিল্মি কায়দায় বাসচালক শীতল গোপের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি শুরু করে দুষ্কৃতীরা।
বাসের আরেক চালক অসিত পালকে ধারাল অস্ত্রের কোপ দেয় তারা। তারপরই বাসে থাকা চার পাঁচটি ব্যাগ নিয়ে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেখান থেকে নেমে ছোট গাড়িতে করে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন অসিত পাল। বর্তমানে তাঁকে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বাসে উপস্থিত বাকি যাত্রীদের কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর,ওই বাসে রুপো ব্যবসায়ী অরূপ কুণ্ডুর একটি পার্সেল আসছিল। সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । বাসযাত্রীদের অভিযোগ, দিনেদুপুরে এভাবে ডাকাতির ঘটনায় তাদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। ঘটনার পর থেকে জেলাজুড়ে জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক সহ বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিং শুরু করেছে পুলিশ। যাত্রীদের একাংশ এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, জীবনে প্রথম এইরকম ঘটনার সম্মুখীন হলেন তারা। শূন্যেও গুলি ছোড়া হয়েছে। বাস কন্ডাক্টর নির্মল সরকার বলেন, ‘শূন্যে গুলি করে ডাকাত দল। চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এই ঘটনা ঘটায় তারা।
তবে গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করলেও, গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি কোচবিহার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোচবিহার জেলা পুলিশ।
এলাকায় এ ধরনের ঘটনা প্রথম ঘটায় ডাকাতির ঘটনার পর আতঙ্কিত এলাকায় বাসীন্দারাও।