মীরা দাস: চিন্তন নিউজ:৩০শে জুন:- প্রতিবছর ৩০ শে জুন পালিত হয় হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস, প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো এই বিদ্রোহ এই ইতিহাস সিধু, কানুর নেতৃত্বে ১৮৫৫ সালে আদিবাসী দের বিদ্রোহ হয়। এই বিদ্রোহ টি প্রথম সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন যা ইংরেজদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার প্রথম আন্দোলন। এই আন্দোলন করার ফলে ইংরেজরা কানুকে ফাঁসি দেয় এবং সিধুকে গুলি করে মারে ,তাঁদেরই স্মরন করে এই দিবস পালন করা হয়।
এই আন্দোলনের উৎস মুলত ঝাড়খণ্ডে ।ইংরেজ আমলে আদিবাসীরা নিজেদের অধিকার পায়নি আজও তারা সব সময় বঞ্চিত। একই পরিবার থেকে ছয় ভাই বোনের ( সিধু, কানু, বিরসা, চাঁদ, ভৈরব, আর দুই বোন ফুল মনি, এবং ঝানু মুর্মু ) এই সংগঠিত আন্দোলন পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত। এদের ডাকে একত্রিত হয়েছিল চারশ গ্রাম। সেখানে সাঁওতাল ছাড়া অন্যান্য নিপীড়িত জনগন ও সামিল ছিল,। অথচ ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালনের সময় এদের নাম উল্লেখ হয় না। কি করেই বা করবে সরকার? তাহলে জমিদার ,জোতদারদের দালালি এবং ইংরেজদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অত্যাচারের কাহিনী স্বীকার করতে হয়। তাই তো কবি গুরু বলেছেন এই বিদ্রোহ ”সাঁওতালদের উপবিপ্লব ”
কানুর দেশ প্রেম এতোটাই ছিল মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত চিৎকার করে বলেছিলেন ” তোমরা আমায় ফাঁসী দিচ্ছ দাও আমি আবার ফিরে এসে তোমাদের দেশ ছাড়া করাব ” ।
হুল সমগ্র আদিবাসী সমাজকে নতুন ভাবে বাঁচার পথ দেখায়, নতুন ভাবে সংগ্রামী হতে আহ্বান জানায় এবং সকল আদিবাসী কে একত্রিত করে ।হুল সমগ্র আদিবাসী দের কাছে গর্বের বিষয়।