চিন্তন নিউজ: ৭ ই ফেব্রুয়ারি: কেন্দ্রীয় সরকার এর দানবীয় কৃষি বিলের বিরোধীতায় চলছে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন। দিল্লি সরকার এই আইন প্রত্যাহার তো করেই নি উপরন্তু আন্দোলনরত কৃষকদের উপর অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে।। তারই প্রতিবাদে গতকাল ছিল চাক্কাজ্যাম কর্মসূচি।এই কর্মসূচি পালন করা হলো চন্দননগরে ।
এদিকে খানাকুল ২ব্লক কৃষক সভার উদ্যোগে রাজহাটী বাজার সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে চাকা জ্যাম কর্মসূচি পালিত হয় বেলা ২টা থেকে ২,৪৫ মিনিট পর্যন্ত । উপস্থিত ছিলেন অসীম বাগ, নেপাল খাঁ, ওবাইদুল কবীর, সমীর পাল, মহশীন কাদেরী এছাড়াও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আবার দাদপুর থানা কৃষক সমিতি ও দাদপুর থানা খেতমজুর ইউনিয়নের উদ্যোগে দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ২নং জাতীয় সড়ক মহেশ্বরপুরে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালিত হলো।কৃষক বিরোধী ৩টি আইন বাতিল ও আন্দোলনরত কৃষকদের উপর অবর্ননীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে চন্ডীতলা ১ ও ২ নং ব্লক এবং জাঙ্গীপাড়া ব্লক কৃষক সভার উদ্যোগে “চাক্কা জ্যাম” পালিত হলো শিয়াখালা চৌমাথাতেও।
হুগলি জেলার পোলবা থানা কৃষক সভার নেতৃত্বে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে সুলতানগাছায় ২৩ নং রোডে চাকাজ্যাম কর্মসূচি পালিত হলো।
ব্যান্ডেল মোড়েও বিদ্যুৎ বিল ও কৃষি বিল প্রত্যাহার এর দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হলো।।এই একই দাবীতে মগরা ও সপ্তগ্রাম এ কৃষক , ছাত্র,যুব, মহিলা ও সিটুর পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কৃষক বিরোধী ৩টি আইন বাতিল ও আন্দোলনরত কৃষকদের উপর অবর্ননীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে চন্ডীতলা ১ ও ২ নং ব্লক এবং জাঙ্গীপাড়া ব্লক কৃষক সভার উদ্যোগে “চাক্কা জ্যাম” কর্মসূচিতে শিয়াখালা চৌমাথায় অবরোধ চলছে। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কমরেড রঘুনাথ ঘোষ, হরপ্রসাদ সিংহ রায়, আব্দুল হাই,স্বপন বটব্যাল,সোমনাথ ঘোষ, অশোক নিয়োগী, আজিম আলি, আশীষ চ্যাটার্জি, সুদীপ্ত সরকার, পুষ্প পাত্র সহ কৃষক ও ক্ষেতমজুর নেতৃত্ব ।
ডিওয়াইএফআই হুগলী জেলা কমিটির ডাকে “যাহা নবান্ন, তাই ৫৬, চাই কাজ, চাই শিল্পের দাবীতে ১১ই ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে শিয়াখালা যুব সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি কমরেড মিনাক্ষী মুখার্জী, কমরেড মিঠুন চক্রবর্তী, কমরেড অভিজিৎ অধিকারী। সভাপতিত্ব করেন কমরেড সঞ্জয় ঘোষ। সভার শুরুতে গণসংগীত পরিবেশন করেন মশাট সৃষ্টি শাখা র শিল্পীরা ও কমরেড সুমিতা চ্যাটার্জি। দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতি অমানবিক অত্যাচারের প্রতিবাদে চাক্কাজাম কর্মসূচি ধনিয়াখালির ভাস্তারাতে ২৩ নং রোডে ৪০ মিনিট ধরে চলে।এছাড়া ধনিয়াখালির গুড়বাড়ির মৌবেশিয়ার মোড়ে ২৩ নং রোডে ৩০ মিনিট ধরে চলে।
নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির হুগলী জেলার সদর চন্দনগর মগড়া জোনাল বার্ষিক সাধারণ সভা চলছে হুগলী জেলা কমিটির অফিস অমিয় মৈত্র স্মৃতি ভবনে। দেওয়ালে পিঠ ঠেঁকলে পরে দেওয়াল জুড়েই লিখতে হয়…
কাঁচা হাতে যতটুকু পারা যায়…
আবার আজ কৃষক সংগঠন গুলির ডাকে যে চাকাজ্যাম কর্মসূচির ডাক দিয়ে ছিল মগরা দিগসুই সপ্তগ্রাম এরিয়া কমিটি এলাকায় মিঠাপুকুর মোড়ে ও মগরা গঞ্জের মোড়ে পালন করা হয়। নবান্ন অভিযান এর সমর্থনে তিন্নায় চলছে দেওয়াল লিখন। আবার কোন্নগর এরিয়া কমিটি এলাকার কানাইপুর বাঁশাই গ্রামের পার্টি কমরেডরা দেওয়াল চুন করেছিল ব্রিগেড সমাবেশের দেওয়াল লিখনের জন্য।
তৃণমূলের নেতারা সেই দেওয়ালে ঘাষফুলের ছবি এঁকে দেয় রাতের অন্ধকারে। আজ দিনের আলো ফুটতেই এরিয়া কমিটির নেতৃত্ব পুলক চক্রবর্তী ও তপন চক্রবর্তী সহ এলাকার পার্টি কর্মীদের উদ্যেগে ঐ ঘাষফুল মুছে ব্রিগেডের দেওয়াল লেখা হলো ।।
এদিকে সিঙ্গুরে কারখানার দাবিতে প্রতীকী শিলান্যাস উপলক্ষে প্রবল আবেগ -উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে ( ৩ ফেব্রুয়ারি ‘২০২১) সমাবেশ ও মিছিল করে শিল্যান্যাস হলো। সেই ছবি এখানে তুলে ধরা হলো ।
গতকাল এবিটিএ রাজ্য নেতৃবৃন্দ পেনশন সংক্রান্ত ও ভোটে শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও অন্যান্য দাবি নিয়ে ডিপিপিজি ও শিক্ষা দফতরে আবার ডেপুটেশন দিলেন-।
আবার হুগলি জেলা হারালো স্বাধীনতা সংগ্রামী, আজীবন কমিউনিস্ট, হুগলি জেলা তথা রাজ্যের গণআন্দোলন ও কৃষক আন্দোলনের পুরোধা নেতৃত্ব কমরেড বিনোদ দাশ-এর ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবসে রইলো গভীর শ্রদ্ধা। বালিহাট্টায় আগামী দিনের লড়াই এর প্রস্তুতি চলছে।।
শুরু হয়ে গেল আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি- খানাকুল বিধানসভা নির্বাচনী কমিটির উদ্যোগে গতকাল বিকালে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বিরাট কর্মীসভা হয়ে গেল খানাকুল ঝাউতলা প্রাঙ্গণে প্রায় চার শতাধিক কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সদস্য ও খানাকুল বিধানসভা কমিটির আহ্বায়ক ভজহরি ভুইঞা ।বক্তব্য রাখেন রাজ্য কমিটির সদস্য ও জেলা কমিটির সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ, কেন্দ্রীয কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য ।দেবব্রত ঘোষ বলেন, আমাদের রাজ্যে বাম গণতানত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠনের নতুন উপাদান তৈরি হয়েছে। মানুষের সাথে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের বিকল্প বামপন্থীরা এই বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে হবে ।তার জন্যই আমাদের সবাইকে পরিশ্রম করতে হবে । শ্রীদীপ ভট্টাচার্য বলেন সারা বিশ্বে চরম দক্ষিণপন্থা ও পুঁজিবাদী শক্তি পিছু হটছে ।শ্রমিক কৃষকের আন্দোলন শক্তিশালী হচ্ছে ।আমাদের দেশে আর এস এস বি জে পি সরকারের নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কৃষক সংগ্রাম ও জোরালো হচ্ছে ।এতবড় কৃষক আন্দোলন স্বাধীন ভারতে হযনি।তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে বলেন । উপস্থিত ছিলেন মোজাম্মেল হোসেন, ভাস্কর রায, অভয় ঘোষ, মনীন্দ্র রানা ,নেপাল খাঁ প্রমুখ।
শেষ খবর ,পান্ডুয়ায় মহা মিছিল ও ব্রিগেড এর সমর্থনে দেওয়াল লিখন চলছে।