আবীর মুখোপাধ্যায়, চিন্তন নিউজ:৩১শে জুলাই:-, পান্ডুয়া,:- তৃণমূল পরিচালিত বেলুন ধামাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের উদাসীনতায়, বন্ধ হয়ে গিয়েছে নিকাশি ড্রেন। ফলে জল জমে আছে রাস্তায়, বহু বাড়িতে ঢুকে গেছে বর্ষার জল, তার সঙ্গে মিশছে গৃহস্থলীর নোংরা জল জল ।এই নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বেলুন ধামাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের জগন্নাথ পাড়া র সাধারণ মানুষ। বাসিন্দারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে বসবাস করছে। জল জমে থাকায় একটা কাঁচা বাড়ির দেওয়াল ধসে পড়ারও আশংকা দেখা দিয়েছে।
হুগলি জেলার সংবাদ সংগ্রাহক সুপর্না রায় জানাচ্ছেন যে আমপানের ক্ষতিপূরণ বিলিতে কানাইপুর পঞ্চায়েত এর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুর উত্তর পাড়া ব্লক অফিসে স্মারকলিপি জমা দিল সিপিআইএম।। স্বজনপোষণ এর অভিযোগ করেছে স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্ব।। সিপিআইএম এর দাবী যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাদের টাকা দিতে হবে কারণ যারা ক্ষতিগ্রস্ত নন তারা ক্ষতিপূরণ এর টাকা আত্মসাৎ করেছে।। অপরাধী দের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানিয়েছেন সিপিআইএম নেতা আশিস দে।।।
হুগলি জেলার সংবাদ সংগ্রাহক সুপর্না রায় জানাচ্ছেন যে খানাকুল ২ নং ব্লক এলাকাটি অপেক্ষাকৃত নীচু অঞ্চল।।এই অঞ্চলে সব মৌজাই বন্যাপ্রবণ।। প্রতিবছর বর্ষাকালে এই অঞ্চল বন্যার জলে ডুবে যায় এবং পরে রাস্তা গুলো সব ভেঙে যায়।। প্রশাসন এর কোন হেলদোল নেই ।। জোড়াতালি দিয়ে কোনরকম ভাবে চলে এবং পাকাপাকি ভাবে কোন বন্দোবস্ত করা হয় না।। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে আসছেন আজ বেশ কিছু বছর ধরে।।
হুগলি জেলার বলাগড় এর শুভ্রদীপ্ত এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৮৭ নম্বর পেয়ে এলাকাবাসী কে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।। অভাব তার নিত্যসঙ্গী।। কঠোর পরিশ্রম আর হার না মানা জেদ থেকেই তার এই ফল।। শুভ্রদীপ্ত বলাগড় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।। ভবিষ্যতে তার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে।। তার এই সাফল্য তে খুব খুশী তার বাবা গনেশ দেবনাথ ও মা প্রতিমা দেবনাথ।। কিন্তু ছেলের ভবিষ্যত পড়াশোনা নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তা তে দিন কাটাচ্ছেন।। কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থা যে রক্ষীর কাজ করতেন গনেশ বাবু ।পরে লকডাউন এর জেরে সেই কাজ চলে যায়।। তারপর কলম কারখানা যে কাজ করতেন এখন সে কাজটিও নেই। প্রতিমা দেবী সেলাই এর কাজ করেন কিন্তু তা দিয়ে সংসার চালিয়ে ছেলেকে ডাক্তারি পড়ানো সম্ভব নয়।। ছেলের পড়াশোনা নিয়ে গভীর চিন্তায় বাবা মা।
হুগলি জেলার সংবাদ সংগ্রাহক শিবাজি মিত্র জানালেন যে আজকে সিপিআই (এম)কোন্নগর এরিয়া কমিটির ডাকে নবগ্রাম ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসে ডেপুটেশন কর্মসূচি ও অবস্হান বিক্ষোভ সংগঠিত হয়।
সিপিআই (এম)পার্টির পক্ষ থেকে ডেপুটেশনে প্রতিনিধিত্ব করেন – আশিষ দে, অমিতাভ সেন,তপন চক্রবর্তী,কিশলয় ঘোষ।
অবস্থান বিক্ষোভ সভায় সভাপতিত্ব করেন কমরেড পুলক চক্রবর্তী, এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পার্টির এরিয়া কমিটির সম্পাদক কমরেড অভিজিৎ চক্রবর্তী, জয়দীপ মুখার্জী,তপন চক্রবর্তী, আশিষ দে।
দাবি গুলো-
বিদ্যুৎ এর মাসুল বৃদ্ধি প্রত্যাহার করা, লকডাউনের সময় ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল তিনমাসের জন্য ছাড় দেওয়ার ব্যবস্হা করা, কোনোমতেই তিনমাসের বিল একসাথে নেওয়া যাবে না, ২৪*৭ পরিষেবা চালু রাখা গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বন্ধ করা,নতুন কানেকশনের ক্ষেত্রে টালবাহনা এবং স্বজনপোষন বন্ধ করা ।
হুগলি জেলার সংবাদ সংগ্রাহক চৈতালি নন্দী জানিয়েছেন যে, চলে গেলেন তরিৎ বসু । আশির দশক থেকেই যুক্ত ছিলেন ভারতীয় গননাট্য সঙ্ঘের উন্মেষ শাখার সঙ্গে। সক্রিয় সদস্য ছিলেন গনতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘেরও।গানের বিভিন্ন দলের টিম লিডার, পথ নাটকের সক্রিয় শিল্পী, হাল্লাবোল সহ বহু নাটকে কাজ করেছেন। কর্মজীবনে তিনি চন্দননগর পৌরসভার কর্মী,আজীবন বাম আদর্শে দীক্ষিত। শাসক দলের চোখরাঙানিকে অস্বীকার করে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি কাজ চালিয়ে গেছেন। একসময় দীর্ঘদিন বিনা বেতনে কেরানির কাজ করেছেন দূর্গাচরন রক্ষিত স্কুলে। দাঁত সংক্রান্ত অসুবিধার কারণে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে সরাসরি কোভিড এ আক্রান্ত হন তিনি। পাঁচ ছ’ দিন নার্সিংহোমে ভেন্টিলেশনে কাটিয়ে তিনি আজ চলে গেলেন। কাজের সঙ্গেই চলতো তাঁর নিজের গানের স্কুল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু ছাত্রছাত্রী। তাঁর স্বপ্ন ছিল অবসরের পরে শুধুমাত্র গণসঙ্গীত পরিবেশনই হবে তার একমাত্র কাজ। বাম আদর্শে দীক্ষিত তরিৎ বসু চেয়েছিলেন গানের মধ্যে দিয়ে তাঁর প্রতিবাদী স্বর মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে…..রয়ে গেল তাঁর অধরা স্বপ্ন , তাঁর গান ও অসংখ্য গুনমুগ্ধ।