প্রদ্যুৎ সরকার: চিন্তন নিউজ:১৬ই জুলাই:- কেন্দ্রীয় সরকারের ১৫০টা লোকাল ট্রেন বেসরকারীকরণের জনবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে সি আই টি ইউ। সি আই টি ইউ ডানলপ-বাঁশবেড়িয়া-চন্দ্রহাটী জোনাল সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ত্রিবেণী স্টেশনে রেল বেসরকারিকরণের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ সভা করা হয়। বিক্ষোভ সভা থেকে দাবি ওঠে কোনোভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারিকরণ করা চলবে না। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সি আই টি ইউ জোনাল সমন্বয় কমিটির সম্পাদক শৈলেন বিশ্বাস,সভাপতি সুব্রত দাশগুপ্ত,এরিয়া কমিটির সম্পাদক অনির্বাণ সরকার,প্রণত গুহ,শিবানী দাশগুপ্ত,জুলফিকর আলী,তরুণ চ্যাটার্জী, যুবনেতা কাদির হুসেইন, সোমনাথ বোস, অশোক দে, হরিদাস মালো সহ আরো অনেক।
সায়ঙ্ক মন্ডল শ্রীরামপুর থেকে জানিয়েছেন যে- মাধ্যমিকে অঙ্কে একশোতে একশো পেয়েছিলো ।কিন্তু এই লকডাউনের ফলে তার পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার বাবা হস্তশিল্পের জিনিস ফেরি করতেন কিন্তু এই লকডাউনের ফলে ব্যাবসা বন্ধ তাই এখন সংসারের হাল ধরতে মাস্ক, সেনিটাইজার, পি পিই বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে হুগলী জেলার শ্রীরামপুর কলেজের ছাত্র প্রাঞ্জল দে । ছোট থেকে অঙ্ক তার খুব প্রিয় বিষয়। পরবতী কালে শ্রীরামপুর কলেজে অঙ্ক নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে প্রাঞ্জল । কিন্তু ভাবতে পারেনি এত তাড়াতাড়ি সংসারের হাল তাকে ধরতে হবে । প্রাঞ্জলের বাবা প্রদীপ দের হস্তশিল্পের ব্যবসা। কাঠ, বাঁশ প্রভৃতি কাঁচামাল দিয়ে তিনি বানান নানা ধরনের ঘর সাজানোর জিনিস, ওয়াল হ্যাঙ্গিং প্রভৃতি। সে সব তিনি ফেরি করতেন বিভিন্ন মেলায় এবং পর্যটন কেন্দ্রে। করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার নেওয়ায় রাজ্য তথা জেলায় একে একে বন্ধ হয়ে যায় মেলা ও পর্যটনকেন্দ্রগুলি। পরে চালু হয়ে যায় লকডাউন। ফলে ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। মুশকিল হয়ে পড়ে সংসার চালানো। ছেলের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ায় বা কী ভাবে সম্ভব? অবস্থায় মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই কিট, অ্যাপ্রন প্রভৃতি পাইকারি বিক্রি শুরু করেছেন প্রদীপ দে। বাড়িতে মাস্ক, পিপিই এবং অ্যাপ্রন তৈরিতে তাঁর সঙ্গে হাত লাগাচ্ছে প্রাঞ্জল। বাবার সঙ্গে সামলাচ্ছে দোকান। আবার দরকার মতো অর্ডার সাপ্লাই করার জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার প্রভৃতি তিনি ব্যাগে ভরে জায়গা মতো সাইকেলে নিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসছেন। এসবের মাঝেই চলছে পড়াশোনা।
মাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণ হয়ে বৈদ্যবাটি জে এন গুপ্ত লেনে তার নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।আত্মীয় স্বজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।।।
একসঙ্গে শ্রীরামপুর ও আরামবাগের পুরসভা বন্ধ হয়ে গেল।। এই দুই পুরসভায় পুরকর্মীরা করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত। হুগলি জেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।। হুগলি জেলার করোনা আক্রান্তের চিত্র:— আক্রান্ত১৬৮৭, আ্যক্টিভ ৪৯৪_ ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৭৪, ২৪ ঘন্টা যে মৃত ১_ মোট মৃত ৩৩……..
আরামবাগ থেকে সুদীপ্ত পোদ্দারের দেওয়া খবর,২০১১ সালের নির্বাচনে তৃনমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক বেদখল হয়ে যায় বামেদের পার্টি অফিস গুলো। অবাধে চলতে থাকে সরকারি মদতে সন্ত্রাস। এতবছর পর আজ আরামবাগের। গৌরহাটি ২ অঞ্চল অফিসে এলাকার দরদি কর্মী সমর্থক,শোষিত ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে আজ ভাঙাচোরা পার্টি অফিসে উঠলো লাল ঝান্ডা। প্রায় দুই শতাধিক মানুষ এলাকায় মিছিল করেন।