সায়ঙ্ক মন্ডল চিন্তন নিউজ :-২২শে জুলাই চুঁচুড়া:-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ার জের প্রশাসনিক বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার প্রাক্তন উপ-পৌরপ্রধান অমিত রায়কে। সম্প্রতি এই পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বাধ্য হয়ে ময়দানে নামতে হয় শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি দলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে অবিলম্বে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের আবেদন জানান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। ইতিমধ্যে কল্যান ব্যানার্জীর পক্ষ নিয়ে নিয়োগ বাতিলের দাবীতে সরব হওয়া অস্থায়ী কর্মীদের পাশে এসে দাঁড়ান প্রাক্তন পুরপ্রধান অমিত রায়। কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামত তড়িঘড়ি গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দেন পুরমন্ত্রী। এরপরই গেটের সামনে অস্থায়ী কর্মীদের সাথে আবীর খেলায় মাতেন অমিতবাবু। ঘটনার দিন পনেরোর মধ্যেই বর্তমান পুর-প্রশাসক বোর্ডের সদস্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো অমিত রায়কে। যা নিয়ে যারপরনাই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। পুর-প্রশাসক বোর্ডের চেয়ার পার্সন গৌরিকান্ত মুখার্জী বলেন সরকারীভাবে পুর দপ্তর থেকে পাওয়া চিঠি পেয়েছি।
যেখানে বলা হয়েছে প্রশাসক বোর্ড থেকে অমিত বাবুকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। এটা সরকারী ব্যাপার এরবেশী কিছু আমি বলতে পারবো না। এবিষয়ে পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিআইএম-এর সমীর মজুমদার বলেন সরকারীভাবে আমাদের কাছে চিঠি আসেনি। তবে এটা বলতে পারি যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ায় দলীয় ক্ষোভের বলি হলেন অমিতবাবু। এবিষয়ে অমিত রায় বলেন আমি দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততায় বিশ্বাসী। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দিদিকে অগোচরে রেখেই আমাকে সরানো হয়েছে। ন্যায়কে আগলে রাখতে গিয়ে আমার গায়ে অন্যায়ের কোপ পড়লো। আগামিকাল থেকে পুরসভায় আমাকে কেউ দেখতে না পেলেও আমি ন্যায়ের সাথে থেকেই তৃণমূল করে যাবো। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি এটুকু বলতে পারি যে ২১ শে ফেব্রুয়ারির শহীদ দিবসে আমি শহিদ হলাম। এরপরই চোখ ছলছল অবস্থাতেই মুখে কষ্টের হাসি নিয়ে বিগত ১০ বছরের চেয়ার ছাড়লেন অমিতবাবু। পুরসভার কর্মীদের সাথে শেষ দেখা করে প্রতিদিনকার মত এক অনুরাগীর বাইকের পিছনে চেপে পুরসভা ছেড়ে বেড়িয়ে যান অমিত রায়।
শ্রীরামপুর থেকে হুগলি জেলার সংবাদ সায়ঙ্ক মন্ডল জানিয়েছেন যে:- ২২ শে জুলাই শ্রীরামপুর:- আজ ভারতের ছাত্র ফেডারেশন ও ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন উদ্যোগে বর্ধিত লাইটের বিলের বিরুদ্ধে ও করনায় সকল মানুষ কে সতর্ক করে চললো সারাদিন টোটো প্রচার।
হুগলি জেলার সংবাদ সংগ্রাহক শিউলি রায় জানাচ্ছেন যে হুগলি জেলার সিঙ্গুর এর ছিনামোড় সমবায় নির্বাচনে ৫০টি আসনের মধ্যে ৪১ টি আসন পেয়ে সিপিআইএম জয়লাভ করেছে।

হুগলি জেলার তারকেশ্বরে পিয়াসাড়ায় ২০১১ থেকে বন্ধ পার্টি অফিসটি বন্ধ করে দিয়েছিল দুষ্কৃতি রা।।আজ গ্রামের মানুষ পার্টি অফিস টি খুলে লাল পতাকা লাগিয়ে দিয়েছে।
হুগলি জেলার সংবাদ সংগ্রাহক জানিয়েছেন যে সোমবার সন্ধ্যা থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে আরামবাগে।। কিন্তু সব কিছু বন্ধ থাকলেও মদের দোকান গুলো যথারীতি খোলা আছে।। সেখানে ক্রেতাদের ভীড়। পরে বাসিন্দারা আবগারি দপ্তরে জানালে দোকান গুলো বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়। হুগলি জেলার সংবাদ সংগ্রাহক সুপর্না রায় জানাচ্ছেন যে সোমবার রাতে পান্ডুয়াতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রাতে দম্পতি খেতে বসলে ফ্যানে কিছু গন্ডগোল হয়। সেই ফ্যানে হাত লেগে সুখুমনি হাসদা নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্বামী ও প্রতিবেশীরা পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে তাদের চুঁচুড়া ইমামবাড়ি হসপিটালে পাঠানো হয়।
শিউলি রায় আরও জানিয়েছেন যে জাঙ্গীপাড়া ব্লকের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতে সফল পরীক্ষার্থীদের ওফাজিল পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারীকে জাঙ্গীপাড়া এস এফ আই এর তরফ থেকে সংবর্ধনা ও আগামী দিনের জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানানো হয়।।
