স্বাতী শীল :– চিন্তন নিউজ:৫ই সেপ্টেম্বর,২০২০:- এক অভিনব পদ্ধতিতে শিক্ষক দিবস পালিত হল চুঁচুড়া অনাথ ভান্ডারে । ৫ ই সেপ্টেম্বর, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এর জন্ম দিবসকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই বিশেষ দিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়, কৃতজ্ঞতা জানানো হয় মানুষ গড়ার কান্ডারী দের। করোনা আবহে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও হুগলী-চুঁচুড়া বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদিনব্যাপী পালিত হয়েছে শিক্ষক দিবস। তারই মধ্যে একদম অন্যরকম ভাবে শিক্ষক দিবস উদযাপন করলো চুঁচুড়া ষন্ডেশ্বরতলাস্থিত অনাথ ও দুঃস্থ ভান্ডার।
উচ্চমাধ্যমিকে সর্বমোট ৪৯৯ নাম্বার পেয়ে চুঁচুড়ার মুখ উজ্জ্বলকারী শ্রীমান ঐক্য বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা জানানোর মধ্য দিয়ে পালিত হলো আজকের শিক্ষক দিবস। শ্রীমান ঐক্য বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলী কলিজিয়েট স্কুলের ছাত্র। তার পিতা শ্রী সমরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ওই একই স্কুলের শিক্ষক। ছোটবেলা থেকে অত্যন্ত মেধাবী ঐক্য। পড়াশোনার পাশাপাশি আঁকাতেও তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সূচনা করেন শ্রী অরুণ কুমার শীল তার উদ্বোধনী সংগীত দিয়ে। বক্তব্য রাখেন কিরণময় দত্ত সহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানটি শেষ হয় ঐক্যের নিজের কিছু কথা দিয়ে। আজকে শিক্ষক দিবসের দিন শিক্ষাগুরু হিসেবে নিজের দাদু স্বর্গীয় নন্দদুলাল ব্যানার্জীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান শ্রীমান ঐক্য বন্দ্যোপাধ্যায়।গানে,গল্পে ও স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে ঐক্যের হাতে তুলে দেওয়া হয় সামান্য কিছু উপহারও।
সায়ঙ্ক মন্ডল শ্রীরামপুর থেকে জানিয়েছেন যে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন শ্রীরামপুর পূর্ব লোকাল কমিটি অন্তর্গত শ্রীরামপুর কলেজ শাখা উদ্যোগে এই করনা আবহে কোন রকম পরীক্ষা নেওয়া যাবে না এবং যদিও পরীক্ষা নিতে হয় তাহলে নিদিষ্ট স্বাস্থ্য বিধি মেনে অর্থাৎ যে হল গুলিতে পরীক্ষা হবে তার আগে সেই হল গুলিতে স্যানিটাইজ করতে হবে এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রত্যেকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার দিতে হবে। এছাড়া তারা দাবি তোলেন কলেজে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন চালু করতে হবে । আজ এই দাবি গুলোকে সামনে রেখে শ্রীরামপুর কলেজ ইউনিট প্রত্যেকটি সদস্য ও সদস্যা পোস্টার ডেমোস্টেশান করেন । কম্পিউটার সায়েন্স অনার্স এবং জিওগ্রাফির সিট বাড়াতে হবে।।
সোমনাথ ঘোষ শ্রীরামপুর থেকে জানিয়েছেন যে, কৃষক সভা ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন ও সিআইটিইউ এর উদ্যোগে কেন্দ্র ও রাজ্যের দেশবিক্রি করা, দূর্নীতি লুঠের বিরুদ্ধে ও কৃষক মজুর শ্রমিকদের দাবি নিয়ে চন্ডীতলার হরিপুরে পথসভা।সভায় বক্তব্য রাখেন কমরেড সোমনাথ ঘোষ কমরেড কমরেড সঞ্জয় ঘোষ, কমরেড স্বপন বটব্যাল ও কমরেড রতন পাত্র। সভাপতিত্ব করেন কমরেড অশোক নিয়োগী ।
সুপর্না রায় জানাচ্ছেন যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে মরণোত্তর চক্ষুদানে বড়রকম বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে কাজ।। এই নিয়ে জাঙ্গীপাড়াতে এক সভা হয।। কলকাতার রিজিওন্যাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমলোজির সুত্রে জানা গেছে বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে তাদের কাছে অন্তত শ’ খানেক মৃত মানুষের কর্নিয়া আসে।।তার মধ্যে অর্ধেক ব্যবহার করার উপযুক্ত থাকে।। কিন্তু করোনা সংক্রমণ এর জেরে এখন কর্নিয়া সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। ফলে বেশ কিছু মানুষের চোখে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা গেল না।আইআর ওর অধিকর্তা অসীম পাত্র জানিয়েছেন যে তাঁরা কর্নিয়া পেলেই তা প্রতিস্থাপন জন্য প্রস্তুত। কারণ যারা কর্নিয়া জনিত কারণে অন্ধ হয়ে গেছেন তাঁরা অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু এখন আইআর ও তে কর্নিয়া পৌঁছানো সমস্যা। বিভিন্ন সংগঠন জানিয়েছেন যে তারা শেষ কর্নিয়া সংগ্রহ করতে পেরেছেন গত মার্চে।। তাঁরা জানিয়েছেন যে পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই তাঁরা জোরকদমে কাজ শুরু করবেন।।
সূপর্ণা রায় আরোও জানিয়েছেন যে, কোন্নগর স্টেশন থেকে দিল্লি রোড এর দুপ্রান্ত এর মিলনস্থল একটি রাস্তা যার নাম নৈটি রোড।। কিন্তু রাস্তাটি দেখলে কেউ বলবে না আদৌও একটি রাস্তা।। কারণ এই রাস্তা বর্ষাকালে হাঁটার অযোগ্য হয়ে ওঠে।। জল জমে কাদায় এমন অবস্থা হয় যে দেখলে চমকে উঠতে হয়।। রাস্তার দুধারে মানুষ এর বসতি আছে , বেশ কয়েকটি স্কুল এবং কলকারখানা আছে।। করোনা সংক্রমণ এর জেরে এখন স্কুল বন্ধ না হলে অন্তত সাত আট টা স্কুল এর পুলকার চলে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পড়ুয়া দের যাতায়াত। কলকারখানার শ্রমিকদের যাতায়াত এই নৈটি রোড ধরে। অথচ এই রাস্তার কোন সংস্কার করা হয় না। প্রশাসনকে বারবার জানানো হয়েছে কিন্তু কোন ফল হয়নি।।