হুগলি জেলার আজকের খবর
চিন্তন নিউজ::::——-২০ শে ফেব্রুয়ারি:::– পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন এর দিনক্ষণ আর কয়েকদিনের মধ্যে ঘোষিত হবে।। তার আগেই চলছে নির্বাচনী প্রচার। কারণ এবারের নির্বাচন এক অন্য মাত্রা বহন করে আনবে। আর এক দিকে রয়েছে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি বিশাল ব্রিগেড সমাবেশ।। এই দুই এর মিলিত ভাবে আজকের হুগলি জেলার সংবাদ——–
-আজ বাম – কংগ্রেসের দুটি কর্মসূচিতেই জনজোয়ার ।একটি চন্ডীতলায় মহামিছিল , আর একটি চন্দননগরে জনসভা । দুটি কর্মসূচিতেই উপস্থিত আছেন কমরেড মহম্মদ সেলিম, জনাব আব্দুল মান্নান ও বাম – কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । আবার এদিকে সিমলাগড় বাজার বাসস্ট্যান্ডে ও আর্তি বাসস্ট্যান্ডে বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রাপ্ত বাতিস্তম্ভ দুটো জনগনের সুবিধার্থে পান্ডুয়া বিধানসভার বিধায়ক মাননীয় আমজাদ হোসেন উন্মোচন করলেন। এলাকাবাসী অভিনন্দন জানান।
লিখেছেন কমরেড জয়দেব ঘোষ- কমরেড আমজাদ হোসেন সাধারণ মানুষ,ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা এবং এলাকায় নানারকম উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছেন।। ইদানিং কালে সরাই উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এ তাঁর বিধায়ক তহবিল থেকে পরিশ্রুত ও শীতল পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন । মানুষ বিধায়ক নির্বাচিত করেন এলাকা উন্নয়ন এর জন্য। বিধায়ক তার এলাকায় কাজ করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। একটা দল সরকারে নেই। সেই দলের বিধায়ক এলাকায় একের পর এক কাজ করে চলেছেন। এমন টাই তো মানুষ চায়। কাটমানি, সোনার বাংলা এসব কথা শুনতে শুনতে যখন মানুষ দিশেহারা, তখন হুগলী জেলার বুকে গ্রাম শহর মিশিয়ে পাণ্ডুয়ার বুকে একটা বিধায়ক নিঃশব্দে কাজ করে চলেছেন। সেই আমজাদ হোসেন।
২০১১ সাল থেকে শাসক দলের অনেক বাঁধা অতিক্রম করতে হয়েছে। কিন্তু তাতেও আমজাদ হোসেনকে দমানো যায় নি। তাঁর অনেক ঘটনার স্বাক্ষী বহু কমরেড।স রাই উচ্চ বিদ্যালয়ের এমন একটি কাজ করতে পেরে তার অল্প সময়ের সঙ্গী হিসাবে আজ সকলেই গর্বিত। পান্ডুয়ার কমরেডদের কাছে সকল কমরেড কৃতজ্ঞ। জ্যোতি বসু বলতেন,
“মানুষ মানুষ মানুষ। শেষ কথা মানুষ বলবে।”…

আবার এদিকে পান্ডুয়া বিধানসভায় বৈঁচি নুনিয়া ডাঙ্গা বিধায়ক আমজাদ হোসেনের তহবিলে এই আলোক স্তম্ভ টি তৈরি হয়…. আজ এটি উদ্বোধন করলেন বিধায়ক মহাশয়. উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলার প্রাক্তন। সভাধিপতি প্রদীপ সাহা মহাশয় এবং গ্রামবাসী বৃন্দ .।।

আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি মহতী ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি সমাবেশ আজ চন্দননগরের সার্কাস মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।সভার মুল বক্তা কমঃ মহম্মদ সেলিম,কমঃ দেবব্রত ঘোষ,কমঃ পিনাকী চক্রবর্ত্তী ও রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান সাহেব ও সঙ্গে সংগ্রামী জনগন।

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী সভা শুরু হয়েছে।।এর ই ভিত্তিতেসি.পি.আই.(এম.) জাঙ্গীপাড়া বিধানসভা নির্বাচনী কেন্দ্রের সাধারন সভা আজ অনুষ্ঠিত হল৷ সভায় “বর্তমান পরিস্হিতিতে আমাদের কর্ত্তব্য” বিষয়ে বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শ্রীদীপ ভট্টাচার্য্য৷ প্রায় সাত শতাধিক কর্মীর উপস্হিতিতে সময়োপযোগী মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেন পার্টির রাজ্য কমিটির নেতৃত্ব কমরেড সুদর্শন রায়চৌধুরী, জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড জয়দেব চ্যাটার্জী, জেলা কমিটির সদস্য কমরেড অলোক সিংহরায়৷ সভাপতিত্ব করেন কমরেড মনীন্দ্র নাথ জানা৷আজ চন্দননগর সার্কাস মাঠে ব্রিগেড সমাবেশ সফল করতে জনসভা।

আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড যাওয়ার সমর্থনে মগরা-দিগসুই-সপ্তগ্রাম এরিয়া কমিটির ৪নং শাখায় SFI এর উদ্যোগে দেওয়াল লিখন হলো।

ডানকুনি থেকে কৃষ্ণরামপুর কমরেড মহম্মদ সেলিম ও জনাব আব্দুল মান্নানের মহামিছিলে মানুষের ঢল। কমরেড দেবব্রত ঘোষ ও কমরেড শ্রুতিনাথ প্রহরাজ মিছিলে উপস্থিত আছেন।
গতকাল ব্রিগেডের সমর্থনে কোন্নগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শতাব্দীর মোড়ে জমজমাট সভা। সভায় বক্তব্য রাখেন SFI এর সর্বভারতীয় নেত্রী দীপ্সিতা ধর,ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)হুগলি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য তীর্থঙ্কর রায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এদিকে আবার কৃষক মাণ্ডিতে আবার কৃষক বিক্ষোভ ও ডেপুটশন- AIKS, AIAWU হরিপাল থানা কমিটির যৌথ উদ্যোগে বেলেচোঁঙা কিষান মান্ডি ও হরিপাল বি ডি ও তে ডেপুটেশনের মাধ্যমে কৃষক দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় । মান্ডির সামনে দীর্ঘক্ষন ধরে সভা চলে । উল্লেখ সরূপ গত ১৪ই জানুঃ’২১তারিখে ঐস্থানেই এই সংগঠন দ্বয়ের উদ্যোগে দীর্ঘক্ষন ধরে বিক্ষোভ সভা,পথ অবরোধ ও ডেপুটশন দেওয়া হয় । আন্দোলনের তীব্রতায় বি ডি ও —তে কৃষক প্রতিনিধি,এ ডি ও ,মান্ডি অফিসার, রাইস মিল প্রতিনিধি’র উপস্থিতিতে বি ডি ও সাহেব সর্বসম্মতভাবে কৃষক-স্বার্থবাহি চুক্তি করলেও , দু এক দিন পর থেকেই পূর্ববৎ একই অবস্থা । কৃষক হয়রানি আবার বাড়তে থাকে । আজকের ডেপুটেশনে মান্ডি ‘র দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক তাঁদের অসহায়তার কথা স্বীকার করেন । কৃষক প্রতিনিধিদের তুলে ধরা দাবীগুলি যথার্থ বলে তাঁরা স্বীকার করেন । তাঁদের কথায় বোঝা গেল, রাইস মিল মালিক চুক্তি লঙ্ঘন করছেন । কৃষক সংগঠনের ধারনা,রাইস মিল মালিকদের সাথে রাজ্যে খাদ্যদফতরের বড়ো খুঁটি’র গোপন যোগ-সাজস আছে । সমবায় ও স্বয়ম্ভরগোষ্ঠিগুলিকে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপের দাবী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে তাঁরা জানালেন।
