চিন্তন নিউজঃ৬ই অক্টোবর:– জ্যোতিকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়ঃ– প্রয়াত কমরেড গৌতম বাগের মৃত্যুতে দুটি ক্ষতি হয়েছে। প্রথমত পারিবারিক ক্ষতি; পরিবারের সদস্যের মৃত্যুতে শূণ্যতা তৈরি হয়, সেটা অনস্বীকার্য। কিন্তু তার চেয়েও বড় ক্ষতি হল সামাজিক ক্ষতি। স্মরণসভা একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান নয়। কমিউনিষ্ট পার্টির কর্মীর বিশেষ গুণাবলী আছে বলেই তিনি কমিউনিষ্ট পার্টির কর্মী। সেই গুণগুলির স্মৃতিচারণার জন্যেই স্মরণসভা করা। কমিউনিষ্ট পার্টির কর্মীর সবচেয়ে বড় গুণ নীরবে থেকে আত্মপ্রচার বিমুখ হয়ে পার্টির জন্য কাজ করা। কমরেড গৌতম বাগ তেমন একজন কর্মী ছিলেন। বুধবার সিপিআই(এম) কোতরং-হিন্দমোটর এরিয়া কমিটির সদস্য প্রয়াত কমরেড গৌতম বাগের স্মরণসভায় স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে এমন কথাই বললেন পার্টির হুগলী জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ। কোতরং-হিন্দমোটর এরিয়া কমিটির উদ্যোগে কমিটির উদ্যোগে ধর্মতলায় সোনার বাংলা অনুষ্ঠান বাড়িতে এই স্মরণসভা হয়। প্রথমে প্রয়াত কমরেডের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মাধ্যমে স্মরণসভার কাজ শুরু হয়। প্রয়াত কমরেডের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন পার্টির হুগলী জেলা সম্পাদক সহ জেলা সম্পাদকমন্ডলী, জেলা কমিটি, এরিয়া কমিটি সহ শাখা নেতৃবৃন্দ। স্মরণসভায় শোকপ্রস্তাব পেশ করেন এরিয়া সম্পাদক পৃথ্বীশ ভট্টাচার্য। স্মরণসভায় স্মৃতিচারণা করেন সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জ্যোতিকৃষ্ণ চ্যাটার্জি, জেলার প্রবীণ পার্টিনেতা শান্তশ্রী চ্যাটার্জি এরিয়া সম্পাদক পৃথ্বীশ ভট্টাচার্য প্রয়াত কমরেডের ভাই প্রণব বাগ, এবিটিএ নেতা গৌতম দাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শ্রুতিনাথ প্রহরাজ, জয়দেব চ্যাটার্জি। নেতৃবৃন্দ প্রয়াত কমরেডকে স্মরণ করে বলেন, “আমরা আমাদের প্রিয় কমরেডকে এমন কঠিন সময়ে হারালাম যখন ফ্যাসিবাদী শক্তির বিপদ এসে হাজির হয়েছে। যেভাবে আমাদের সুহৃদ কমরেড গৌতম বাগ শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাকে স্মরণে রেখেই গণতান্ত্রিক আন্দোলন সহ শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে আসুন আমরা অঙ্গিকার গ্রহণ করি।” স্মরণসভার কাজ পরিচালনা করেন এরিয়া সম্পাদক পৃথ্বীশ ভট্টাচার্য।
জয়দেব ঘোষঃ-৮ই অক্টোঃ বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষে চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের প্রচার ও নাম নথিভুক্তর কাজ চলছে ৷