জয়দেব ঘোষ, চিন্তন নিউজ, ৬ ডিসেম্বর: কৃষি কালা আইনের প্রতিবাদে ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যে বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ পান্ডুয়া ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি অমল পাল ও পান্ডুয়া ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতি রহিতুর রহমান(রনি দা)এর নেতৃত্বে মিছিল ও পথসভা কর্মসূচি পালন করা হল।
দিল্লীতে কৃষক আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে ও ৮ই ডিসেম্বরের বনধের সমর্থনে তারকেশ্বরের তুল্যান গ্রামের কৃষক সমিতির পক্ষ থেকে মিছিল করা হয়। অন্যদিকে মগরা দিগসুই সপ্তগ্রাম এরিয়া কমিটির রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। শিবিরের উদ্বোধন করেন জেলা সম্পাদক কম দেবব্রত ঘোষ।
সুপর্না রায়: দিল্লীর কৃষক আন্দোলকে সমর্থন জানিয়ে ব্যান্ডেল-কোদালিয়ার ছাত্র যুবরা আজ মশাল মিছিল করে। মিছিল থেকে আগামী ৮ ই ডিসেম্বর সারা ভারত ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানানো হয়।
ব্যান্ডেল কোদালিয়া এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে কৃষক স্বার্থ বিরোধী কৃষি আইন বাতিল করার দাবিতে চুঁচুড়া ষ্টেশনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
দিল্লিতে সংগ্রাম রত কৃষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ CPI(M) কোন্নগর এরিয়া কমিটির ডাকে কানাইপুর এলাকায় সংহতি মিছিল সংগঠিত হয়।
সায়ঙ্ক মন্ডল: গোঘাট এক নম্বর এরিযা কমিটির অধীনে কুমুডসা অঞ্চলের চকহরি গ্রামে আজ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনে সাম্প্রদাযিকতা বিরোধী ও কালা দিবস পালন করা হল। এলাকার কর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। স্কোয়াড মিছিল করার পর পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায বক্তব্য রাখেন কমরেড স্বপন মণ্ডল, কমরেড মহম্মদ ইয়াসিন, কমরেড ভাস্কর রায়, সভাপতিত্ব করেন কমরেড সেখ মহিউদ্দিন। গোঘাট ও কুমুডসার নেতৃত্ব ও কর্মীরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া গোঘাটের কামারপুকুরে পথসভায় বাবরি মসজিদ ধংসের কালা দিন ও ৮ ডিসেম্বর ধর্মঘটের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন কমরেড দেবু চ্যাটার্জী, কমরেড অসিত মুখার্জী, কমরেড সৌরভ পাঁজা, কমরেড সত্যসাধন ঘোষ, কমরেড অরুন পাত্র। ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষে কমরেড নিরঞ্জন পন্ডিত।
শ্রীরামপুর পূর্ব এরিয়া কমিটির উদ্যোগে আজ শ্রীরামপুরে গালর্স কলেজর সামনে পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুরে পূর্ব এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুমঙ্গল সিং, অনুপ কাড়ার , তপতী ঠাকুর চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
দিল্লিতে অবস্থানকারী কৃষকদের উপর পুলিশি অত্যাচার ও কমরেড হান্না মোল্লার উপর পুলিশি কেস প্রত্যাহারের দাবিতে ৮ই ডিসেম্বর হরতালের সর্মথনে ধনিয়াখালির বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল, অবস্থান, বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কৃষক আন্দলন কে সমর্থন জানিয়ে আজ সিঙ্গুরে ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের উদ্যোগে বাইক মিছিল সম্পন্ন হয় । তীব্র পুলিশের বাধা থাকলেও সমস্ত বাধা পেড়িয়ে এই মিছিল সম্পন্ন হয়।
সিদ্ধার্থ গুহ: কৃষিকার্যের উপর দেশের ৭০% মানুষ নির্ভরশীল। কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কৃষি বিলের প্রতিবাদে আগামী ৮ই ডিসেম্বর দেশব্যাপী ধর্মঘটের সমর্থনে ডানকুনি রেল ইয়ার্ড থেকে দিল্লি রোড চৌমাথা পর্যন্ত ডানকুনি সিপিএম এরিয়া কমিটি ও কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে এক বিশাল মিছিল সংগঠিত হয়। এই মিছিলে বাম ছাত্র যুব সংগঠনের স্থানীয় নেতৃত্ব সামিল হয়েছিল এবং সাথে সাধারণ মানুষও শামিল হয়েছিল। মিছিল শেষে নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল পুড়িয়ে কৃষি বিলের প্রতিবাদ জানানো হয়ে।
রঘুনাথ ঘোষ: দিল্লীতে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের প্রতি সংহতি ও সমর্থন জানিয়ে সারা ভারত কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় সমিতি, চন্ডীতলা-১ নং ব্লক শাখা ও জাতীয় কংগ্রেসের যৌথ উদ্যোগে আজ বিকালে হুগলী’র চন্ডীতলার ভগবতীপুর বাজারে পথসভা, পথ অবরোধ ও নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পোড়ানো কর্মসূচী পালন করা হোল। পথসভায় বক্তব্য রাখেন কৃষক নেতা অশোক নিয়োগী ও খেতমজুর আন্দোলনের নেতা সেখ আজিম আলি।
অবিলম্বে কৃষক বিরোধী দানবীয় নয়া তিন কৃষি আইন ও বিদ্যুৎ সংশোধনী আইন-২০২০ বাতিল, শ্রমিক বিরোধী শ্রমকোড প্রত্যাহার এবং দিল্লীতে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক কমরেড হান্নান মোল্লার বিরুদ্ধে দিল্লী পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য পথসভায় জোরালো দাবী ওঠে। কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা আগামী ৮ ই ডিসেম্বর’২০ দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট ও জনতা কারফিউ সফল করার জন্য বক্তারা সকলকে আহ্বান জানান।
এছাড়াও সভায় ভারতীয় সংবিধানের রূপকার ড: বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের ৬৪ তম প্রয়াণ দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সংবিধান রক্ষার শপথ নেওয়া হয় এবং ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর আজকের দিনে দেশের সংবিধানের অন্যতম স্তম্ভ ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার কঠোর নিন্দা করে সেখানে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মন্দির নির্মানের উদ্যোগের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জানানো হয়। কর্মসূচীকে ঘিরে ভগবতীপুর পোলধার ও লাগোয়া এলাকায় মানুষের মধ্যে স্বতস্ফুর্ত্ততা ও সমর্থন লক্ষ্য করা যায়।