জেলা

হুগলি জেলার খবরঃ-


চিন্তন নিউজ:সৌম্য চক্রবর্তীঃ–তিনের চাকাও থামল শেষে শ্রীরামপুরে—
৩ নং বাসের নাম শোনেননি এরকম মানুষ কলকাতা বা হুগলী জেলায় পাওয়া দুষ্কর। ১৯২৭ সালে চালু হওয়া এই রুট দশকের পর দশক ধরে শ্রীরামপুর এবং বাগবাজারের মধ্যে পরিষেবা দিয়ে গেছে লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে। সল্টলেকের আইটি সেক্টরের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে ৩ নং-ও তার যাত্রাপথ বাড়িয়ে যাওয়া শুরু করে সল্টলেক। বহুবছর শ্রীরামপুর, রিষড়া, কোন্ননগর, উত্তরপাড়া বা দক্ষিণেশ্বর, ডানলপ বা বাগবাজারের বাসিন্দাদের লাইফলাইন এই রুট অনেক ঝড়ঝাপটা পেড়িয়ে ছুটে চলেছিল সেঞ্চুরি-র পথে। কিন্তু না, আর হল না। ৯৭ তেই থেমে যেতে হলো। ৬৯ টি বাস থেকে কমতে কমতে এসে দাঁড়ায় মাত্র ১টি তে। এক মালিক বছরের পর বছর একটি মাত্র বাস চালিয়ে রুটটিকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। আসলে প্রচলিত কথাতেই তো আছে, ঝড় ঝঞ্ঝা বান বন্যা যাই-ই এসে যাক, ৩ নম্বরের চাকা কোনদিন থামবে না। কিন্তু অবশেষে থেমে যেতেই হলো। যুদ্ধ ক্লান্ত বাবুদা হার মেনে নিলেন। কি হবে আর যুদ্ধ করে? কার জন্য যুদ্ধ করবেন? মানুষের কাছে আজ ৩ নম্বরের প্রয়োজনীয়তা হারিয়েছে। অঞ্চলে এসেছে নতুন রুট ২৮৫, সঙ্গে দিনের পর দিন টোটোর সংখ্যা ক্রমশই বেড়েছে। ১০ বছর আগে চেষ্টা করলে হয়তো রুটটা বাঁচানো যেত, কিংবা যেত না, হয়তো এটাই ছিল ভবিতব্য। আসলে যেকোনো জিনিষ কখনো অসম্ভব মনে হলেও সেটা চিরকাল অসম্ভব থাকে না।

সুপর্ণা রায়- কত কিছুই করে রেকর্ড করা যায় আর এবার সেটাই করে দেখালো হুগলি জেলার কোন্নগরের বাসিন্দা সৌম্য দীপ হালদার । তার শিল্প কলার মধ্যে দিয়ে নাম তুললো ” গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে” —
রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে রসায়নে মাস্টার্স করেছে এখন নেটের প্রস্তুতি নিচ্ছে । একদিন বন্ধুদের সাথে সে একটি ক্যাফেতে খেতে যায় । পাস্তা তার প্রিয় খাবার । সেখানে বন্ধুদের সাথে বিস্কুট এর উপর লেখা এমব্লেম নিয়ে কথা বলার সময় মাথায় আসে যদি পাস্তার উপর এমন কিছু করা যায় !!! মাথায় আসা মাত্র সে এটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে , প্রথমেই সাফল্য আসে নি , ক্রমাগত চেষ্টার পর আসে সাফল্য । সাত মিনিট চুয়ান্ন সেকেন্ড এ দশটি গোল পাস্তার উপর লাল , সবুজ বল কালির পেন দিয়ে লিখে ফেলে নিজের পিরিয়ডিক টেবিল লিখে ফেলে । অক্টোবর মাসে সেই লেখা নিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন জানান আর নভেম্বরে জানতে পারে সে মনোনীত হয়েছে ।
তার এই কর্মকাণ্ড বাড়ীতে কিছু ই জানায় নি পরে পুরষ্কার বাড়ীতে আসার পর তার পরিবারের সকল সদস্য আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে । সে জানায় যে রসায়ন তার প্রিয় বিষয় আর পাস্তা তার প্রিয় খাবার । এটা করতে পেরে সে খুব খুশী।

বি এস পি এস (BSPS) এর উদ্যোগে রাজ্যব্যাপী বিদ্যাসাগর শিক্ষা সহায়ক কেন্দ্র ও বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রের পড়ুয়া দের মূল্যায়নের অংশ হিসাবে আজ ২২-১২-২৪ তারিখে ভদ্রেশ্বর মানকুণ্ড তেলিনীপাড়া বিঘাটি আঞ্চলিক কমিটির মানকুণ্ড সহায়ক কেন্দ্রে মূল্যায়ন চলছে।

দীপালী মন্ডলঃ- সিপিআই(এম)২৫ তম হুগলী জেলা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বক্তব্য রাখছেন পার্টির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শ্রীদীপ ভট্টাচার্য।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।