চিন্তন নিউজ:- চৈতালি নন্দীঃ-বঙ্গভঙ্গের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯০৫ এর ১৬ই অক্টোবর রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে সম্প্রীতির পক্ষে এবং বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রতিবাদে যে অকাল রাখীবন্ধন কর্মসূচি পালিত হয় তাকে স্মরণ করে চন্দননগরের বাগবাজারে সংস্কৃতি সংবেদের আহ্বানে পথচারীদের মধ্যে পালিত হোল রাখী বন্ধন কর্মসূচী। ভোরবেলা শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানের শুরু তে সভাপতি হিসেবে ডঃ প্রবুদ্ধ ঘোষ এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ব্যক্ত করেন। এর পর অধ্যাপক স্বপন চট্টোপাধ্যায় উপনিবেশ বিরোধী এবং সম্প্রীতির বার্তা বাহী এই দিনটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বর্তমানে আর জি কর আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এই দিনটির প্রাসঙ্গিকতা বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেন বর্তমানে ঘটে চলা মহিলাদের উপর বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ সহ।প্রসঙ্গক্রমে রবীন্দ্রনাথের ফ্যাসিবাদ বিরোধী ভূমিকাকে স্মরণ করে তিনি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বৈরাচারী ভূমিকাকে ব্যাখ্যা করেন বর্তমানে ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। এরপর বিভিন্ন শিল্পী এবং সংস্কৃতি কর্মী গান, কবিতাপাঠ, স্বরচিত রচনা পাঠ , আবৃত্তি পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটিকে অর্থবহ করে তোলেন। পথচারী মানুষ দের হাতে পরিয়ে দেওয়া হয় “তিলোত্তমা বিচার চায়” লেখা রাখী। দু ঘন্টার এই প্রতিবাদী অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে মানুষের মধ্যে সুগভীর প্রভাব ফেলে।
সুদীপ্ত সরকারঃ-কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর বঙ্গ ভঙ্গের বিরুদ্ধে রাখি বন্ধন কর্মসূচী প্রচলন করেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে বঙ্গীয় সাক্ষরতা প্রসার সমিতি, জাঙ্গীপাড়া আঞ্চলিক কমিটি ও রাজবলহাট ইউনিট কমিটির উদ্যোগে আজ রাজবলহাটে রাখি বন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের পতাকত্তোলন, স্মারক মঞ্চ ও কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন ও ইউনিট কমিটির সভাপতি সনাতন ঘোষ। বক্তব্য রাখেন রাজ্য মহিলাদলের প্রাক্তন ফুটবলার শিউলি রায়, আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক অজিত ঘোষ, রাজ্য কমিটির নেতৃত্ব জগন্নাথ কুণ্ড, আঞ্চলিক কমিটির নেতৃত্ব গোলাম মোস্তফা।
উপস্থিত ছিলেন সুদীপ্ত সরকার, সুদীপ্ত ঘোষ, নারায়ণ কোলে, রওসন মল্লিক, রাজকুমার ঘোষ, গোবিন্দ বাগুই সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।
বাজারের মানুষজন ও পথচারীদের হাতে হরিদ্রা বর্ণের রাখি পরিয়ে দেন চম্পা রায়, উমা কোলে সহ উপস্থিত অন্যান্য মহিলাগন।
ফাইট ফর জাস্টিস। উই ডিমান্ড জাস্টিস। পুরুলিয়া ও কৃষ্ণনগরে আবার একই নারকীয় ঘটনা। তিলোত্তমাদের ন্যায় বিচারের দাবীতে আজ হুগলির জাঙ্গীপাড়া ব্লকের কোতলপুর অঞ্চলের সুবলপুর গ্রামে মহিলাদের উদ্যোগে ক্ষেতমজুর পাড়ায় প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হল। মিছিল শেষে মোমবাতি জ্বালিয়ে তিলোত্তমা দের স্মৃতিতে নীরবতা পালন করেন উপস্থিত মহিলারা।
জয়দেব ঘোষঃ-আজ হুগলী জেলায় খানাকুল, পুরশুড়া, বলাগড়, জাঙ্গীপাড়া, কোন্ননগর, রিষড়া, পান্ডুয়া , ভদ্রেশ্বর প্রভৃতি এলাকায় উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রাকৃতিক র্দূযোগ উপেক্ষা করে রাখী বন্ধন দিবস উদযাপিত হয়। বিদ্যাসাগর নামাঙ্কিত শিশু ও বয়স্কদের শিক্ষা কেন্দ্রের প্রশিক্ষিকা প্রশিক্ষক অংশগ্ৰহনকারী ও সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে মাইক সহযোগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ প্রবর্তিত রাখিবন্ধন দিবসের তাৎপর্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্য সহযোগী শিক্ষা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আজকের সময়ে সম্প্রীতি রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বক্তারা তৎকালীন সময়ে অর্থাৎ ১৯০৫ সালে ইংরেজ রাজশক্তির বঙ্গ ভঙ্গের প্রতিবাদে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের প্রতিবাদে পদযাত্রা সহ নাখোদা মসজিদের ইমাম সহ সমস্ত পথচলা মানুষকে রাখী পরিয়ে পথে নামার আহ্বান আজকের দিনেও রাজশক্তির ঔদ্ধত্যের বিষয়ে আর,জি,কর কান্ডের বিচার চেয়ে পথে নামার আহ্বান জানান।মিশ্র এলাকায় এই কর্মসূচী মানুষের কাছে সাড়া ফেলেছে।