চিন্তন নিউজ: উমাশঙ্কর চক্রবর্তীঃ-বাংলার সঙ্গীত জগতে রবীন্দ্রনাথ – দ্বিজেন্দ্রলাল -অতুলপ্রসাদ – রজনীকান্ত -নজরুলের (অর্থাৎ পঞ্চ কবির ) পরের যুগে বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত স্রষ্টা সলিল চৌধুরীর প্রাক শততম জন্মবার্ষিকীর কথা মাথায় রেখে হুগলী – চুঁচুড়া বইমেলা কমিটির আয়োজনে গতকাল চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনে বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে কথায় ও গানে সলিল অনুষ্ঠানে বর্তমান কালের দুই বিখ্যাত সঙ্গীত স্রষ্টা এবং সলিল চৌধুরীর ঘরাণার প্রকৃত উত্তরাধিকার কল্যাণ সেন বরাট ও দেবজ্যোতি মিশ্র তাঁদের গানের উদ্দীপনা ও মাধুর্য্যে এবং বর্তমান সময়ের সামাজিক উত্তাল পরিস্থিতিকে ইতিবাচক পরিণতিতে নিয়ে যাবার জন্য উৎসাহব্যঞ্জক বাক শৈলীতে উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করেন এবং আগামীদিনের লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করেন। আর জি করের নারকীয় ঘটনার পর যখন চারিদিকে প্রতিবাদ নিয়মিত ভাবে চলছে তখন বর্তমান সময়ের এই দুই অনন্য প্রতিভাবান প্রতিবাদী সঙ্গীত শিল্পীর দ্বারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশাল সংখ্যক মানুষকে লড়াইয়ে থাকার জন্য প্রেরণা দান চুঁচুড়ার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিক সমাজ চিরকাল মনে রাখবে , হুগলী- চুঁচুড়া বইমেলা কমিটির সময়োচিত এই পদক্ষেপ কে আন্তরিক ভাবে সাধুবাদ , এছাড়া মূল অনুষ্ঠানের আগে রবীন্দ্র ভবনের গেটের কাছে প্রতিবাদ সভা , গান , শ্লোগান , প্রতিবাদের ভাষা লেখা , প্রতিবাদের কবিতা বইয়ের প্রকাশ , প্রতিবাদী স্বাক্ষর সংগ্রহ এইসব কিছু হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে , উপস্থিত অনেকেই পুরোপুরি ভিজে গেছেন ,কিন্তু সবাই ঐ ভেজা জামা কাপড় পরেই আজকের এই ঐতিহাসিক সমাবেশে লড়াইয়ের মেজাজে থেকে সমস্ত অনুষ্ঠানের উষ্ণতার ঝাঁঝ কে গ্রহণ করলেন।
সুকুমার ভুক্তাঃ-তিলোত্তমা আজও বিচারের আশায়। সেই বিচারের দাবিতে যেমন গর্জে উঠেছে শহর কলকাতা, সেই গর্জন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও। এইরকমই এক ছবি দেখা গেল হুগলি জেলার খানাকুল ২ এর অন্তর্গত নন্দনপুর বাড়নন্দনপুর গ্রাম এলাকায়। প্রত্যন্ত গ্রাম, চলাফেরা করার একটু সরল রাস্তা টুকু পর্যন্ত নেই অধিকাংশ বাড়ির, একটু বর্ষা হলেই জলে ডুবে যায় রাস্তাঘাট। এলাকার মানুষদের কেউ ভাগ চাষী, কারো বা একবিঘা দু বিঘা জমি চাষ করে সংসার চলে, কেউ মৎস্যজীবী, বহু তরুণ পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে ঘরের বাইরে । সেই এলাকার মানুষজনও , ৪ থেকে ৮০, গর্জে উঠলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে ।এ দাবি যেমন তিলোত্তমার বিচারের, তেমনি সমাজ জুড়ে ঘটে যাওয়া সমস্ত দুর্নীতি ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে । এ দাবি বলে মানুষ আর মুখ বুজে সব কিছু সহ্য করে যাবে না, তারা আজ একজোট হচ্ছে তাদের অধিকার বুঝে নিতে , সন্তানদের জন্য এক সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে ।
এলাকার মানুষদের বিশেষত মা বোনেদের মধ্যেই দাবি উঠছিল যে তারাও তিলোত্তমার জন্য কিছু করতে চায়। দেখিয়ে দিতে চায় শুধু শহরের মানুষই নয় গ্রামের মানুষও আজ তিলোত্তমার পাশে। আর কোন অভয়া নির্ভয়া তিলোত্তমার জন্য যাতে মোমবাতি জ্বালতে না হয় তা সুনিশ্চিত করতে চায়। সেই মতোই নন্দনপুর বাড়নন্দনপুরের নাগরিক সমাজ এই মিছিলের ডাক দেয় এবং অতি স্বল্প সময়ের আয়োজনেই এই মিছিল সুসম্পন্ন হয়।বৃষ্টির ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে প্রায় সাড়ে চারশ থেকে পাঁচশ জন, শিশু থেকে বৃদ্ধা, মিছিলে পা মেলালেন । ‘আমরা প্রতিবাদ করতে জানি’ অতি দৃঢ়তার সাথে এই বার্তা দিতে সক্ষম হলেন এলাকার মানুষজন। নিঃসন্দেহে অভিনন্দনযোগ্য এ প্রয়াস।
সোমনাথ করঃ- ব্যান্ডেল কোদালিয়া এরিয়া কমিটি অন্তর্গত কোদালিয়া ১ ও ২ শাখার যৌথ উদ্যোগে রক্ত দান শিবির সংগঠিত হয় গতকাল। রক্ত পতাকা উত্তোলন করেন এরিয়া কমিটির বর্ষীয়ান অমল মিস্ত্রী ।রাজ্য কমিটির ও হুগলী জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মনোদীপ ঘোষ ও হুগলী জেলা কমিটির সদস্য সৈকত সোঁ সহ ফরোয়ার্ড ব্লকের ডাঃ প্রণব ঘোষ বক্তব্য রাখেন।জেলা কমিটির সদস্য মলয় সরকার ও বাবলু ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। রক্ত দাতার সংখ্যা ৮১ জন। পার্টি সদস্য, এজি সদস্য সহ সমর্থক দরদীদের উপস্থিত বেশ ভালো।
সুদীপ্ত সরকারঃ-আজ পুরশুড়া উত্তর এরিয়া কমিটির ডিহিবাতপুর অঞ্চলের ডিহিবাতপুর গ্রামে আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ – খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল হয়।
জাস্টিস ফর আর জি কর স্লোগান তুলে এলাকার মহিলাদের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ মিছিল
জাঙ্গীপাড়া অঞ্চলের ধ্বজননতলা থেকে শুরু করে কালিতলা, বাহিরগড় ষ্টেশন ঘুরে ধ্বজননতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে শেষ হয়।
বাবাই সাহাঃ- আজ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) শ্রীরামপুর পূর্ব এরিয়া কমিটির উদ্যোগে আর জি করের নৃশংস ঘটনার বিরুদ্ধে মাহেশ ফায়ার ব্রিগেড থেকে টিনবাজার পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত হয়।