চৈতালী নন্দী, চিন্তন নিউজ, ২২ জুলাই: গত ২৩শে জুনের সভায় সি.আই.আই. স্পষ্টতই ঘোষণা করে শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরীর ধারনা কর্মসংস্থানের পথে বাধার সৃষ্টি করে। সরকারই মজুরী ঠিক করুক। বনিকের কথা না রেখে বিজেপির উপায় ছিল না। ২০১৬ – ১৭ ও ২০১৭ – ১৮ অর্থবর্ষে সবচেয়ে বেশী কর্পোরেটের চাঁদা পেয়েছে বিজেপি।
২০১৭ সালে সন্তোষ গাঙ্গোয়ারকে শ্রমমন্ত্রী করেছিলেন মোদী। এ দফাতেও তিনিই বহাল রয়েছেন। মোদীর স্বপ্নের শ্রম সংস্কারের ভার নিয়ে মজুরি জনিত লেবার কোড পেশ করেছেন তিনি ৪৪টি শ্রম আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইকনমিক সার্ভেকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে সি.আই.আই.-কে স্বাগত জানান হোলো।
২০১৬ সাল থেকে দেশে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের দাবী ছিল শ্রমিকদের ন্যুনতম ১৮০০০ হাজার টাকা মজুরি দিতে হবে। গত জুলাই মাসে মোদী সরকার ন্যুনতম মজুরী ধার্য করে দৈনিক ১৭৮ টাকা, অর্থাৎ মাসে মাত্র ৪৬২৮ টাকা। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মোদী সরকারেরই ধার্যকৃত ২০১৭ এ মজুরি ছিল দৈনিক ১৭৬ টাকা। অর্থাৎ মজুরি বাড়লো মাত্র দু’টাকা। শ্রমিকদের এখন দৈনিক ২৭০০ ক্যালোরির আর প্রয়োজন নেই ২৪০০ ক্যালোরিই যথেষ্ট।
ন্যুনতম মজুরি নির্ধারণ এর পদ্ধতি হলো পরিবার পিছু ২৭০০ ক্যালোরির খাদ্যগুণ, কাপড়, জ্বালানি, চিকিৎসা শিক্ষা ইত্যাদি সহ আরও ২৫ শতাংশ মজুরি যোগ। সব মিলিয়ে মাসে ২৬০০০ টাকা। বিজেপি সরকার তা কমিয়ে করে ১৮০০০ টাকা। ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন এই টাকারই দাবী জানিয়ে আসছে।
সন্তোষ গাঙ্গোয়ারের কমিটি ২০১২ সালের বাজার দর অনুযায়ী ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারিতে ন্যুনতম মজুরী ৮৮৯২ টাকা থেকে ১১৬২২ টাকা পর্যন্ত রাখার প্রস্তাব দেয় সরকারকে। এই প্রস্তাবকে ধিক্কার জানায় সব ট্রেড ইউনিয়ন গুলো।
রাজ্যের শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক মজুরী নির্ধারণ এর জন্যে বোর্ড গঠন করলেও কোন কাজ হয়নি। আদতে মোদী মমতার শ্রম নীতি অভিন্ন। ধর্মঘট ভাঙতে পুলিশই যথেষ্ট। ১৮০০০ টাকা মজুরির দাবীতে ২০ কোটির বেশী শ্রমজীবী ছিলেন রাস্তায়, যাদের সিংহভাগই এবার ভোট দিয়েছেন মোদীকে। এবার ধর্মঘটকে ভাঙতে লাগবে ধর্মের রঙ।